প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসের বর্ধিত চাহিদাকে পুঁজি করে অতি মুনাফার জন্য একটি চক্র পরস্পর যোগসাজশে খেজুর সিন্ডিকেট গড়ে তুলে।
ইফতারের প্রায় অনিবার্য অনুষঙ্গ খেজুর সাধারণ মানুষের কাছে ক্রয় মূল্য পৌঁছে দিয়ে এ বেআইনি চক্র ও সিন্ডিকেট ভাঙতে চায় বাংলাদেশের মানবিক সংস্থা (আশ) আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন।
মিসর থেকে খেজুর ক্রয় করে পরিবহন ও ট্যাক্স যোগ করে প্রতি কেজিতে যে মূল আসবে কোনো মুনাফা ছাড়াই ভ্রাম্যমাণ দোকান ও জেলাভিত্তিক প্রতিনিধির মাধ্যমে ভোক্তাদের কাছে পৌঁছে দিতে চায় সংস্থাটি। ইতোমধ্যে আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশনর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মুহাম্মদ নাছির উদ্দিন মিশর এসে বিভিন্ন খেজুর বাগান ও এখানের স্থানীয় খেজুর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
সম্প্রতি কায়রোর একমাত্র বাংলাদেশি রেস্টুরেন্ট ইন্দু- বাংলায় বসে এক সাক্ষাৎকারে প্রকৌশলী নাছির উদ্দিন জানান, কিছুদিন আগে দেশে যখন তরকারীর দামে নাভিশ্বাস উঠেছিল ভোক্তাদের, তখন মানবিক সংগঠন আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন সাধারণ মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। আমরা সরাসরি কৃষক ও মূল আড়ত থেকে তরকারি ক্রয় করে ভোক্তা পর্যায়ে ক্রয় মূল্যে পৌঁছে দিয়েছি। চট্টগ্রাম নগরের বহদ্দারহাট পুকুর পাড়ে ভ্রাম্যমাণ দোকান বসিয়ে শাক-সবজি বিক্রয় দেখে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন মানবিক সংগঠন এ মানবিক কর্মসূচিতে উৎসাহিত হয়ে নিজ নিজ এলাকায় কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু করে।
আর এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানে সাশ্রয়ী দামে সবজি কিনতে ভিড় করে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। এতেই ভেঙে পরে দেশের সবজি সিন্ডিকেট।
এবার এ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আসন্ন রমজানে আমরা পরিক্ষা মূলকভাবে ক্রয় মূল্য খেজুর পৌঁছে দিতে চাই সাধারণ মানুষের কাছে। প্রথমে বিভিন্ন জাত ও দামের কয়েক কন্টেইনার খেজুর নিয়ে পরীক্ষা মূলকভাবে কাজ শুরু করব। যদি সাধারণ মানুষের সাড়া পাই তা হলে দেশের বিভিন্ন জেলায় এর প্রসার ঘঠাব। এর জন্য প্রয়োজন সরকারের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা। বিশেষ করে খেজুরের ওপর অর্পিত ট্যাক্স কমানো গেলে সাধারণ মানুষ ইফতারিতে অন্যতম উপদান খেজুর হাতের নাগালে পেয়ে যাবে।
আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন ২০০৬ সাল থেকে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি জয়েন্ট স্টক কম্পানি থেকে রেজিস্ট্রেশন পায় এবং ২০১৯ সালে এনজিও ব্যুরো রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয়। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ভাবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্যসহ বিভিন্ন ধরণের মানবিক সেবামূলক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ফাউন্ডেশনটি। মিসর থেকে গাজার নির্যাতিত মানুষের জন্য আলহাজ শামসুল হক ফাউন্ডেশন ও ASH Foundation USA INC. এর চলমান বিবিধ জরুরি মানবিক কর্মসূচি চলমান রয়েছে, এছাড়া প্রবাস ফেরত যাত্রীদের সহায়তায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে রয়েছে চলমান রয়েছে আশ ফাউন্ডেশন মাইগ্রেশন ওয়েলফেয়ার সেন্টার।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ