ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান ও ইরানে কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। স্থানীয় সময় রোববার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় শাহীনের তাণ্ডবে ওমান এখন অনেকটাই অচল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমানের যাত্রীদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে ওমান বিমানবন্দর। সমুদ্রের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় ডুবে গেছে বহু এলাকা।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রবল বর্ষণে ওমানের একটি শিল্পাঞ্চলে পাহাড় ধসে দুই এশীয় শ্রমিক নিহত হয়েছেন। এছাড়া পানির স্রোতে ভেসে যাওয়া এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো একজন নিখোঁজ রয়েছেন। ওমানের রাজধানী মাসকটে সব ধরনের উড়োজাহাজের ফ্লাইটের উড্ডয়ন এবং অবতরণ স্থগিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এক যৌথ বিবৃতিতে ওমানের দুর্যোগ, আবহাওয়া এবং বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানার সময় ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কেন্দ্রটি রাজধানী মাসকট থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে ছিল। এটি ১২০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগ নিয়ে আঘাত হেনেছে।
ইরানের আধাসামরিক বার্তা সংস্থা আইসিএএনএ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে ইরান সমুদ্রের ওপারে দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ সিস্তান-বেলুচিস্তানের চাবাহার বন্দরে ছয়জন নিহত হয়েছেন।
প্রাদেশিক গভর্নর হোসেন মোদারেস-খিয়াবানি ইরানের সরকারি আইআরএনএ সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ঘূর্ণিঝড়ে ইরানের অবকাঠামো, রাস্তাঘাট, বৈদ্যুতিক সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ