সম্প্রতি ইরানে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। যে হামলায় ইরানের চার সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। যার জবাবে এবার পাল্টা হামলার ঘোষণা দিয়েছে ইরান। যেখানে আন্তর্জাতিক আইন মেনেই হামলা চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে।
চলমান উত্তেজনার মধ্যে সোমবার ইরানের অনুরোধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের আলোচনার বিষয় ছিল ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইয়েলের বিমান হামলা। যেখানে আইন মেনে ইসরাইলে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে ইরান।
বৈঠকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাঈদ ইরাভানি বলেন, ‘একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে সুবিধাজনক সময়ে এই আগ্রাসী পদক্ষেপের জবাব দেওয়ার জন্মগত অধিকার রয়েছে ইরানের। জাতিসংঘের সনদের ৫১ নং অনুচ্ছেদে এ অধিকারের বিষয়টি স্পষ্ট করে উল্লেখ করা হয়েছে। আমাদের জবাব হবে আইনসিদ্ধ এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনেই তা দেওয়া হবে।’
তিনি ইসরাইলি আগ্রাসনকে ‘আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদের বড় মাত্রার লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেন এবং নিন্দা জানান। তিনি উল্লেখ করেন, সর্বশেষ হামলায় ইরানের চার সেনাসদস্য ও এক বেসামরিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন।
ইরানের প্রতিনিধি জানান, ইসরাইলের এই আগ্রাসী আচরণ সম্পূর্ণ পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করে তোলার উদ্যোগের অংশ এবং এ ক্ষেত্রে তারা নিয়ন্ত্রণহীন দায়মুক্তি উপভোগ করছে। এছাড়াও তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন গাজা এবং পরবর্তীতে লেবাননে ইসরাইলের গণহত্যার উদাহরণ দেন।
ইরাভানি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, ‘আত্মরক্ষার’ কথা বলে ইসরাইলের সব সহিংস আচরণকে তাদের পশ্চিমা মিত্ররা বৈধতা দিয়েছে, কিন্তু একই গোষ্ঠী ইরানকে লজ্জাজনকভাবে ‘ধৈর্যশীল’ থাকার অনুরোধ জানাচ্ছে। এটা পুরোপুরি নিন্দনীয়।
নয়াশতাব্দী/ইএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ