ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে এখন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা উপকূলের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এর ঝড়ো বাতাসের গতিবেগ ২৮১ কিলোমিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার টম্পা থেকে ৫২০ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছে মিল্টন। গত ১০০ বছরের মধ্যে এটি সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে স্থানীয় সময় আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) এ হারিকেন আঘাত হানবে। শক্তিশালী এ হারিকেনের প্রভাবে টাম্পা এলাকায় ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে টাম্পার জাতীয় আবহাওয়া সার্ভিস জানিয়েছে, হারিকেনের গতিপথ একই থাকলে এটি গত ১০০ বছরের মধ্যে টাম্পার সবচেয়ে বিধ্বংসী ঝড় হবে। এটি এখনো ফ্লোরিডা উপকূলের জন্য বিপর্যয়কর ঝুঁকি হিসেবে অবস্থান করছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।
বুধবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হারিকেনের শক্তি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ সেখান থেকে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটতে শুরু করেছেন। এর ফলে রাস্তায় গাড়ির জটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া, ফ্লোরিডাবাসীদের বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাইডেন বলেন, এটি এখন জীবন-মৃত্যুর বিষয়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ফ্লোরিডার পশ্চিম উপকূলের সব মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আর এমন নির্দেশনার পরই রাস্তায় ব্যাপক যানজট দেখা দেয়।
নির্দেশ দেয়া সত্ত্বেও যারা থেকে যাচ্ছেন তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন টম্পার মেয়র জেন ক্যাস্টর। তিনি বলেছেন, ‘হারিকেন মিল্টন সেখানে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলবে। যদি নির্দেশনা অনুযায়ী সরে না যান, তাহলে আপনারা নিশ্চিতভাবে মারা যাবেন। মানুষকে সরে যেতে হবে। সত্যি বলতে, আমি আমার জীবনে এমন কিছু (হারিকেন) আগে কখনো দেখিনি।
এরই মধ্যে আটলান্টিক মহাসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিল্টন’ আরও শক্তি সঞ্চয় করে পাঁচ মাত্রার বিপজ্জনক ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। এর প্রভাবে ফ্লোরিডার মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টিপাত ও আকস্মিক বন্যা দেখা দিতে পারে।নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ