পবিত্র আল আকসা মসজিদ কম্পাউন্ডে ইহুদিদের উপাসনা ঘর (সিনাগগ) তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামির বেন গাভির। আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামির বেন গাভিরের এমন ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব। এ ধরনের ঘোষণা উগ্র ও চরমপন্থি মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ। পাশাপাশি এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও আখ্যা দিয়েছে দেশটি।
ইসরায়েল অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদ সারা বিশ্বের মুসলিমদের কাছে তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত। এটি ফিলিস্তিনের জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক। এটি ইহুদিদের কাছেও পবিত্রতম স্থান হিসেবে বিবেচিত।
ইসরায়েলের প্রতি পবিত্র আল-আকসা মসজিদের মর্যাদা রক্ষার আহ্বান জানানো হয় দেশটির পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে আল-আকসায় ভাঙচুরের ঘটনারও কড়া সমালোচনা করেছে সৌদি আরব। ধর্মীয় স্থাপনায় ভাঙচুরকে চরম অবমাননাকর ও উগ্রবাদী আচরণ আখ্যা দিয়েছে রিয়াদ। এদিকে, তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান ও কাতার-ও।
কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মেনে চলা নিয়ম-নীতির অধীনে, ইহুদি এবং অন্যান্য অমুসলিমদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের এ মসজিদ প্রাঙ্গণে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তবে তাদের সেখানে প্রার্থনা বা ধর্মীয় প্রতীক প্রদর্শনের কোনো অনুমতি নেই।
অবশ্য কিছু অর্থোডক্স ইহুদিরাও বেন-গভিরের সমালোচনা করে থাকেন। অর্থোডক্স ইহুদিরা ইসলামের পবিত্র এই স্থানটিকে ইহুদিদের জন্যও অত্যন্ত পবিত্র স্থান বলে মনে করে থাকে। তবে নেতৃস্থানীয় রাব্বিদের মতে, আল-আকসার পবিত্রতার কারণে সেখানে কোনো ইহুদির প্রবেশ করা নিষিদ্ধ।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেন-গভিরের মতো কট্টরপন্থী ধর্মীয় জাতীয়তাবাদী নেতারা পবিত্র এ মসজিদ কম্পাউন্ডে আরোপ করা নিষেধাজ্ঞাগুলো ক্রমবর্ধমানভাবে লঙ্ঘন করেছেন। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড কখনো কখনো ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইহুদিদের সংঘর্ষেরও প্ররোচনা দেয়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ