মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

বাংলাদেশের ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশনার সময়: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:১২ | আপডেট: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ১২:২০

বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক বাংলাদেশের সাম্প্রতিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চান।

জবাবে উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশ নিয়ে আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করেছি। এই ইস্যুতে আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না, তবে আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসন নিশ্চিতে চাপ অব্যাহত রেখেছি।’

বুধবার (১৪ আগস্ট) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা আমাদের ভারতীয় অংশীদারদের পাশাপাশি এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমি ব্যক্তিগত কূটনৈতিক আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে আমরা বাংলাদেশে সহিংসতার অবসানের পাশাপাশি জবাবদিহিতা এবং আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধার জন্য চাপ অব্যাহত রেখেছি।

এ সময় এক সাংবাদিক প্রশ্ন করে বলেন, দুই ভারতীয় আমেরিকান কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি ও শ্রী থানেদার পৃথক দুটি চিঠি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনকে পাঠিয়েছেন। ওই চিঠিতে বাংলাদেশে হিন্দুদের জীবন রক্ষায় তার হস্তক্ষেপ এবং সাহায্য চাওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী কি চিঠি দুটি পেয়েছেন? এ ব্যাপারে ব্লিঙ্কেন কী ভাবছেন?

জবাবে প্যাটেল বলেন, আমি সুনির্দিষ্ট চিঠিপত্র নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। তবে আমরা কংগ্রেসের অংশীদারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। মনে রাখবেন- বাংলাদেশকে শান্ত এবং সাম্প্রতিক সহিংসতার অবসানে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই। সেই সাথে নিরাপত্তা পুনরুদ্ধার এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সুরক্ষায় নতুন সরকারের লক্ষ্যকে আমরা স্বাগত জানাই।

প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান। সেখানে বেশ কয়েক দিন নিভৃতে অবস্থানের পর মুখ খোলেন তিনি। ভারতের সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত তার বক্তব্যে তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রে তিনি উৎখাত হয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/জিএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ