মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১

‘বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল ভারতের চিন্তার বিষয় নয়’

প্রকাশনার সময়: ১৪ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪৩

ভারতের কংগ্রেসদলীয় নেতা শশী থারুর বলেছেন, বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল ভারতের চিন্তার বিষয় নয়।

সোমবার (১২ আগস্ট) এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমনটি বলেন।

বাংলাদেশের বিদ্যমান পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেমন প্রভাব ফেলবে, জানতে চাইলে থারুর বলেন- বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের মধ্যেই আমাদের মৌলিক স্বার্থ নিহিত। আমাদের মৌলিক অঙ্গীকার হলো বাংলাদেশি জনগণের মঙ্গল। দ্বিতীয়তে আসে রাষ্ট্র, তৃতীয় স্থানে আসে স্বতন্ত্র কোনো নেতার বিষয়।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আছি। ১৯৭১ সালে আমরা তাদের সঙ্গে ছিলাম এবং তাদের সুখে-দুঃখে আছি। এমনকি যখন সেখানকার সরকার আমাদের সঙ্গে কম বন্ধুত্বপূর্ণ হয়, তখনও আমরা আমাদের সম্পর্ক সমানভাবে টিকিয়ে রাখতে পেরেছি। নিশ্চিতভাবেই সম্পর্কের অবনতি উচিত হবে না।

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে রয়েছেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।

থারুর বলেন, এ নিয়ে নয়াদিল্লির উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, আমি মুহাম্মদ ইউনূসকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি বেশ সম্মানিত ব্যক্তি। আমার মনে হয়, তিনি জামায়াতে ইসলামী বা পাকিস্তানের আইএসআইয়ের তুলনায় ওয়াশিংটনের সঙ্গে বেশি ঘনিষ্ঠ।

কংগ্রেসের এ নেতা বলেন, আপনি যদি সামগ্রিকভাবে অন্তর্বর্তী সরকারের দিকে তাকান, আমাদের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন দেশগুলোর কোনো চিহ্ন দেখতে পাবেন না। ভারতের উদ্বেগ বোধ করার বিশেষ কোনো কারণ আছে বলে মনে হয় না।

থারুর বলেন, ভারত বা চীন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করে কি না, সেটিই বড় চিন্তার বিষয়।

তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় সহিংসতার কিছু ঘটনায় পাকিস্তানি আইএসআইয়ের হাত থাকার সম্ভাবনা থেকেই যায়। অথবা চীন, বাংলাদেশে যাদের শক্ত উপস্থিতি রয়েছে, তারা এ ধরনের পরিস্থিতিকে প্রভাব আরও বাড়ানোর সুযোগ হিসেবে দেখতে পারে। উপমহাদেশে যারা এসব বিষয়ে নজর রাখছেন, তারা বেশি উদ্বিগ্ন। তবে নিশ্চিতভাবেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে বা ইউনূসের প্রাথমিক বক্তব্যে এমন কোনো কিছুর অন্তর্নিহিত নেই, যা আমাদের উদ্বেগের কারণ হতে পারে।

শেখ হাসিনা উৎখাত হওয়ার পর ভারত আশ্রয় দেওয়ায় থারুর দেশটির সরকারের বেশ প্রশংসা করেন।

এ নিয়ে তিনি বলেন- যদি আমরা তাকে সাহায্য না করতাম, ভারতের জন্য এটি অসম্মানের হতো। আমরা যদি আমাদের বন্ধুর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতাম, তবে কেউ আমাদের বন্ধু হতে চাইত না। শেখ হাসিনা ভারতের বন্ধু, ভারত শেখ হাসিনার বন্ধু। বন্ধু বিপদে থাকলে সাহায্য করতে গিয়ে, নিরাপত্তা দিতে গিয়ে দুবার ভাববেন না। ভারত তা-ই করেছে। আমি সরকারকে সাধুবাদ জানিয়েছি।

শেখ হাসিনা কতদিন ভারতে থাকবেন, এ নিয়ে থারুর বলেন- তিনি কতদিন থাকতে চাইবেন, তা আমাদের হাতে নেই। আপনি কাউকে বাড়িতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি কবে যাবেন, তা জানতে চাইতে পারবেন না। তিনি চলে যাওয়ার আগে কতদিন থাকতে চান, তা আমাদের দেখা উচিত এবং সেজন্য অপেক্ষা করা উচিত। অন্য কোনো দেশে যাওয়ার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় থাকে, ভিসাসহ অন্যান্য বিষয় থাকে। আপাতত তিনি আমাদের সঙ্গে আছেন। আমাদের এ নিয়ে গর্ব করা উচিত, আমরা এমন সময়ে একজন বন্ধুর পাশে দাঁড়িয়েছি, যখন তিনি বিপদে রয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ