ভারত চায়, শেখ হাসিনা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অন্য দেশে চলে যাক। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে সূত্র। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ভারত কোনো মন্তব্য করেনি।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানাও তার সঙ্গে আছেন। শেখ রেহানার যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব আছে। তবে শেখ হাসিনাকে যুক্তরাজ্যে যেতে হলে সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে হবে। শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনার বিমান ভারতের বাইরে চলে যাবে সেই প্রস্তুতিও নেয়া হয়ে গেছে বলে সূত্র জানাচ্ছে। বিমানে জ্বালানি ভরার কাজ পর্যন্ত শেষ।
বার্তাসংস্থা এএনআই সূত্রকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, যে বিমানে করে শেখ হাসিনা ভারতে এসেছিলেন, তা পরবর্তী গন্তব্যে চলে গেছে। আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে তা উড়ে যায়। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী তা মনিটর করছে বলেও জানানো হয়েছে।
শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ইন্ডিয়া টুডেকে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা কোথাও রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি। যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন বলে যে খবর রটেছে, তা ঠিক নয়। তার পরিবার এখন বিশ্বের নানা জায়গায় আছে। তিনি সেখানে তার নাতি-নাতনিদের সঙ্গে সময় কাটাতেই পছন্দ করবেন।’
সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনাকে নিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিমান দিল্লির কাছে হিন্ডন বিমানঘাঁটিতে নামে। সেখানে ছিলেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। তার সঙ্গে হাসিনার কথাও হয়।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক সুরক্ষা বিশেষজ্ঞ ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ভারত চায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেখ হাসিনা অন্য দেশে চলে যান।
কেন ভারত হাসিনাকে রাখতে চায় না?
ও পি জিন্দল বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের অধ্যাপক শ্রীরাধা দত্ত ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ‘মূলত দুটি কারণে ভারত শেখ হাসিনাকে রাখতে চায় না। প্রথম বিষয়টি অবশ্যই তার নিরাপত্তা-সংক্রান্ত। দ্বিতীয় বিষয়টি হলো, বাংলাদেশে যে সরকারই আসুক, ভারত তার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায়। আর বাংলাদেশে হাসিনাবিরোধী মনোভাব তুঙ্গে। ভারত চায় না, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেয়ার ঘটনা ছায়াপাত করুক।’
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ