ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মার্কিন রাজনীতিতে রক্তের দাগ

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুলাই ২০২৪, ২০:২৪ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২৪, ২০:৪২

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এ পর্যন্ত চারজন প্রেসিডেন্ট হত্যার শিকার হয়েছিলেন। যার সর্বশেষ স্বীকার হয়ে বেঁচে গিয়েও রক্তাক্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনী সভায় তার উপর এই হামলা চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের নিরাপত্তায় রয়েছে সিক্রেট সার্ভিস নামে বিশেষ বাহিনী। যার মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হয়। এমনকি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে আজীবন তাদের এই বাহিনী নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখে। বিশেষায়িত এই বাহিনীর নিরাপত্তা সত্ত্বেও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বিভিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।

রোববার (১৪ জুলাই) মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে নিহতদের বিষয়টি তুলে এনেছে।

আব্রাহাম লিঙ্কন : যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম গুপ্তহত্যার শিকার হওয়া প্রেসিডেন্ট ছিলেন আব্রাহম লিঙ্কন। ১৮৬৫ সালে ওয়াশিংটন ডিসির ফোর্ডস থিয়েটারে তাকে মাথার পেছন থেকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

জেমস গারফিল্ড : ১৮৮১ সালে ওয়াশিংটন ডিসির একটি ট্রেন স্টেশনে আততায়ীর হাতে গুলিবিদ্ধ হন প্রেসিডেন্ট জেমস গারফিল্ড। তাৎক্ষণিকভাবে এ ঘটনায় তিনি নিহত না হলেও একমাস পর আঘাতের প্রতিক্রিয়ায় নিউজার্সিতে মারা যান এ প্রেসিডেন্ট।

তাকে হত্যার ঘটনায় চার্লস গুইটিউ নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। মানসিকভাবে অসুস্থ এ ব্যক্তিকে গারফিল্ডের প্রশাসনে চাকরি না পেয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।

উইলিয়াম ম্যাককিনলে: ১৯০১ সালের সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কের বাফেলোতে আততায়ীর হাতে নিহত হন প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ম্যাককিনলে। লিওন সিজলগোস নামের এক নৈরাজ্যবাদী তাকে হত্যা করেন। তার এ হত্যাকারী বাফেলোতে থাকা অবস্থায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান।

জন এফ কেনডি : ১৯৬৩ সালের নভেম্বরে ডালাসে স্নাইপারের গুলিতে প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনডি নিহত হন। লি হার্ভে অসওয়াল্ড নামের এক ব্যক্তি তাকে হত্যা করেন। এ হামলার কয়েকদিন পর তার হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যায়নি। কেননা দুইদিন পরেই জ্যাক রুবি নামক একজনের গুলিতে হার্ভি নিহত হন।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে পেনিসিলভানিয়ায় নির্বাচনী সমাবেশে গিয়ে বন্দুক হামলার শিকার হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে দুইজন নিহত ও ট্রাম্পের ডান কানের ওপরের অংশ ফুটো হয়ে যায়। ঘটনার পর রক্তাক্ত অবস্থায় ট্রাম্পকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ট্রাম্প এখন সুস্থ রয়েছেন।

হামলার সময় ট্রাম্পের ওপর হামলাকারী যুবককে গুলি করে হত্যা করেছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। ইতোমধ্যে তার পরিচয় জানা গেছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বন্দুকধারী যুবকের নাম থমাস ম্যাথিউ ক্রুকস (২০)।

সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘হঠাৎ আমি শব্দ শুনি, সঙ্গে সঙ্গে বুঝতে পারি অঘটন ঘটেছে। আর তখনই অনুভব করি গুলি আমার চামড়া ফুটো করে দিয়েছে। অনেক রক্ত পড়তে থাকে, আমি তখন বুঝতে পারি কী ঘটেছে।’

শনিবার (১৩ জুলাই) পিটসবার্গ থেকে প্রায় ৩০ মাইল (৫০ কিলোমিটার) উত্তরে পেনসিলভানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী প্রচারণার সমাবেশে গুলিবিদ্ধ হন রিপাবলিকানের এ প্রার্থী।

নয়াশতাব্দী/টিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ