মুখ্যমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারির পরেই রাজ্যজুড়ে অভিযানে নামতে দেখা যায়, পুলিশ প্রশাসন এবং আধিকারিকদের। তারপরেই জমি কেলেঙ্কারিতে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিস প্রামাণিককে। পরে তাকে দল থেকেও বহিষ্কার করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এর পাশাপাশি তিনি যে সমস্ত জমি দখল করেছিলেন, সেগুলোও পুনরুদ্ধার করে প্রশাসন। শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দেবাশিস। পরে গ্রেপ্তার করা হয় দেবাশিসের ঘনিষ্ঠ আরও দুজনকে। তাদের জেরা করে গৌতমের নাম জানতে পারে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) জমি দুর্নীতি কাণ্ডে জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সংগঠনের আরও এক তৃণমূল নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল।
জেলা তৃণমূলের তরফে ব্লকের সহ-সভাপতি গৌতম গোস্বামীকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে জমি দুর্নীতি কাণ্ডে পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন গৌতম। এর আগে জমি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেপ্তার হওয়ার পর একইভাবে ওই ব্লকের সভাপতি দেবাশিস প্রমাণিককেও দল থেকে বহিষ্কার করেছিল তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দিয়ে জানিয়েছিলেন জমি দখল করলে কাউকেই রেয়াত দেওয়া হবে না। সে যে দলেরই হোক না কেন। তারপরেই তৃণমূলের এরকম কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এদিকে, গ্রেপ্তারের ভয়ে পালিয়ে যান গৌতম। পরে পুলিশ দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে। জানা যায়, গ্রেপ্তারের ভয়ে শিলিগুড়ি ছেড়ে প্রথমে কলকাতায় আসেন তিনি। পরে সেখান থেকে গা ঢাকা দিয়ে হায়দরাবাদে চলে যান। তারপরে বেঙ্গালুরু ও পরে দিল্লিতে পৌঁছান।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই তৎপর হতে দেখা যায়, ভূমি দফতরকে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলার এডিএমদের (এলআর) সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন দফতরের সচিব। সেই বৈঠকে যাতে কোনোভাবে সরকারি জমি দখল না হয়, তা নিয়ে সতর্ক করেছেন। একইসঙ্গে কেউ নতুন করে সরকারি জমি দখল করতে যাতে না পারে, তা নিয়ে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল, সরকারি জমিতে সাইনবোর্ড লাগাতে হবে। সেই নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি দখল হয়ে যায় সরকারি জমি পুনরুদ্ধারের নির্দেশ দেন সচিব। এছাড়াও, কারও কোনও অভিযোগ থাকলে সেই অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে বলে নির্দেশ দেন।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ