বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। এখানে তাঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের পর দুই প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শুরু হয়।

আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকালে গ্রেট হলে পৌঁছালে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।

শুভেচ্ছা বিনিময় এবং দুই দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরিচয় পর্বের পর সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অভিবাদন মঞ্চে যান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং।

অভিবাদন মঞ্চে শেখ হাসিনা ও লি কিয়াং-কে সশস্ত্র সালাম দেয় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিবাদন জানিয়ে তোপধ্বনি দেওয়া হয়। পরে দুই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনীর প্যারেড পরিদর্শন করেন।

শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ভাবে অভ্যর্থনা জানানোর পর দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেন দুই প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা এবং লি কিয়াংয়ের মধ্যেকার বৈঠকের পর তাদের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা। দুপুরে গ্রেট হলে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া মধ্যাহ্ন ভোজে যোগ দেবেন বাংলাদেশ সরকারপ্রধান।

বিকেলে চীনের গ্রেট হলে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তাঁর এ সফর উপলক্ষে বাংলাদেশ ও চীন একটি যৌথ বিবৃতি দেবে।

বিনিয়োগ ও বাণিজ্য, আর্থিক সহায়তা সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে চার দিনের সফরে সোমবার চীনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে বুধবার রাতেই তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জিএস