গাজা যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগামী সপ্তাহে একটি ইসরায়েলি প্রতিনিধিদল কাতারে যাবে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এ তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় অনুসারে, দলটি আগামী সপ্তাহে দোহায় মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির মধ্যে বৈঠকের পর আলোচনার মাধ্যম বিষয়টির সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাবে।
শনিবার (৬ জুলাই) ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষের মধ্যে যথেষ্ট দূরত্ব এখনো রয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে এ দূরত্বের ব্যবধান কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।
ইসরায়েলের গণমাধ্যম ‘কেএএন’ রাজনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, বার্নিয়া মধ্যস্থতাকারীদের বলেছেন তিনি আশাবাদী ফিলিস্তিন বন্দি বিনিময় চুক্তি মেনে নেবে।
বার্নিয়া যুদ্ধবিরতি আলোচনার জন্য কাতারে একটি সংক্ষিপ্ত সফর শেষে ইসরায়েলে ফিরে আসবেন।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভার সদস্যরা ফিলিস্তিনি-বিরোধী অবস্থানে অনড় রয়েছেন। হামাসের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছালে সরকার পতনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
মিশর, কাতার ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় অবশিষ্ট ১২০ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে, কিন্তু তাদের সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ইসরায়েল।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নৃশংস হামলা চলছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ওই হামলার পর থেকে ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী এবং শিশু। এছাড়া ইসরায়েলের হামলায় ৮৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছে।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ