ইসরায়েলের একটি শপিং সেন্টারে দুই সেনাসদস্যের ওপর হঠাৎ হামলা করে বসেন দেশটির এক নাগরিক। এ সময় তার ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারান এক সেনা। অপরজন গুরুতর আহতাবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বর্তমানে।
বুধবার (৩ জুলাই) রাতে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ও পুলিশের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আইডিএফ জানিয়েছে, নিহত সৈনিকের নাম সার্জেন্ট আলেকজান্ডার ইয়াকিমিনস্কি। ১৯ বছর বয়সী এই সেনা ইসরায়েলের নাহারিয়ার বাসিন্দা। হামলাস্থল শপিং সেন্টার থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার (২০ মাইল) দূরে অবস্থিত ওই এলাকাটি।
ইসরায়েলের ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা বলেছে, তাদের প্যারামেডিকরা শপিং সেন্টারের ভেতরে শরীরে ক্ষত নিয়ে আহত দুই ব্যক্তির চিকিৎসা করেছে। পরে তাদের দুজনকেই নাহারিয়ার গ্যালিলি মেডিকেল সেন্টারে নেওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান সার্জেন্ট আলেকজান্ডার ইয়াকিমিনস্কি।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, হামলায় বেঁচে যাওয়া সেনা সদস্যকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ইউনিফর্ম পরা এবং রাইফেল নিয়ে সজ্জিত দুই ব্যক্তিকে বারবার ছুরিকাঘাত করেন একজন ব্যক্তি। এরপর সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু সেনাদের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে যান ওই হামলাকারী। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাটিকে ‘সন্দেহজনক সন্ত্রাসী হামলা’ হিসাবে বিবেচনা করছে এবং হামলাকারীর বেশ কয়েকজন আত্মীয়কে আটক করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক কোনো দায় স্বীকার করা হয়নি কোনো গ্রুপের পক্ষ থেকে।
এদিকে ঘটনাটিকে একটি ‘বীরোচিত অভিযান’ বলে অভিহিত করেছে ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মতে, হামলাটি ছিল গাজা এবং দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের ‘অপরাধের’ একটি ‘স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া’।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ