বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা বলেছে, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতার বক্তব্যের সত্যতা নেই।
সাম্প্রতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে গঙ্গা পানিবণ্টন চুক্তির নবায়নের প্রসঙ্গটি আলোচিত হয়। ২০২৬ সালে ৩০ বছরের ওই চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তবে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তির মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
চুক্তি নবায়ন বিবেচনার জন্য দুই দেশের মধ্যে কারিগরি একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীদের বৈঠকের পর এ সংক্রান্ত ঘোষণাও দেওয়া হয়।
সম্প্রতি মমতা অভিযোগ করে বলেন, গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি নবায়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করেনি।শুক্রবার সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে মমতার এমন অভিযোগের বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, মমতার এ দাবির সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই।
ব্রিফিংয়ে মমতার অভিযোগ অস্বীকার করে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সরকারি তথ্য ও মুখ্যমন্ত্রীর তোলা অভিযোগের মধ্যে মিল নেই।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, গঙ্গা চুক্তি নবায়নের বিষয়টির আন্তর্জাতিক পর্যালোচনা হবে। সে জন্য একটি অভ্যন্তরীণ কমিটি গঠিত হয়েছে। সেই কমিটির প্রতিটি বৈঠকে এই চুক্তির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সবাই যোগ দিয়েছেন। এমনকি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রতিনিধিও যোগ দিয়েছেন।
জয়সওয়াল বলেন, চলতি বছরের ৫ এপ্রিল সেই কমিটির বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে তাদের কী পরিমাণ শিল্প ও পানীয় জলের প্রয়োজন, সে কথাও জানানো হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, অভ্যন্তরীণ কমিটি তাদের প্রতিবেদন ইতিমধ্যেই পেশ করেছে। আপাতত সেই প্রতিবেদন বিবেচনাধীন।
নয়া শতাব্দী/এসআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ