মধ্য আমেরিকার দেশ গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস ও এল সালভাদরে গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষণে বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে টানা কয়েকদিন ধরে এই প্রবল বৃষ্টিপাত চলছে। এ ছাড়া ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার (২১ জুন) এল সালভাদোরের কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশটিতে ঝড় ও ভারী বৃষ্টিতে এখন পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে ছয়জন শিশু রয়েছে। ঝড় থেকে বাঁচতে ৩ হাজারেরও বেশি মানুষ অস্থায়ী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন।
এল সালভাদরের বেসামরিক সুরক্ষা সংস্থার প্রধান লুইস আমায়া সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘‘আমাদের অবশ্যই মানুষের জীবন বাঁচাতে হবে। বস্তুগত পণ্য আসে এবং যায়। কিন্তু এখন আমাদের জীবন রক্ষায় মনোযোগ দিতে হবে।’’
একই দিনে ওই অঞ্চলের দেশ গুয়াতেমালার কর্তৃপক্ষ বলেছে, দেশটিতে অন্তত ১০ জন মারা গেছেন। এছাড়া আরও প্রায় ১১ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং ৩৮০ জনের মতো মানুষ এখনও অস্থায়ী আশ্রয়ে রয়েছেন। ঝড়ে তিন শতাধিক ঘড়বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও চারটি সেতু ধ্বংস হয়েছে।
গুয়াতেমালার প্রতিবেশী হন্ডুরাস বলেছে, দেশটিতে ঝড়ে কমপক্ষে একজনের প্রাণহানি ঘটেছে। পাশাপাশি এক হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কেবল গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ৩০০ জন মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তারা বলেছেন, বৃষ্টিতে ১৮০টি সম্প্রদায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং ২২টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে।
ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বৃহস্পতিবার মেক্সিকোর ওক্সাকা রাজ্যের একটি শিশু হাসপাতাল থেকে প্রায় ৮০ শিশুকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে দেশজুড়ে খরা-বিধ্বস্ত জলাধারগুলো পানি জমেছে। বর্তমানে দেশটির জলাধারগুলো ধারণ ক্ষমতার প্রায় এক তৃতীয়াংশ পানিতে ভরে গেছে।
মেক্সিকো কর্তৃপক্ষ দেশটির অধিকাংশ অংশ জুড়ে প্রবল বৃষ্টি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় ও আটলান্টিক উপকূলের অংশ জুড়ে মুষলধারে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স।নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ