ভারতে বিষাক্ত মদপানে কমপক্ষে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং এক শতাধিক লোককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বেআইনিভাবে মদ বিক্রির অভিযোগে গোবিন্দরাজ ওরফে কান্নুকুট্টি (৪৯) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার এবং ২০০ লিটারের বেশি মদ জব্দ করেছে পুলিশ। ভিলুপুরামের এক ফরেনসিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা নমুনায় বিষাক্ত মিথানলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
মদবিক্রির লাইসেন্স বা বৈধতাপত্র নেই— এমন বিক্রেতারা প্রায় সময়েই তাদের পণ্যের তেজ বাড়ানোর মিথানল নামের একটি রাসায়নিক মেশান। এটি খুবই উচ্চমাত্রার বিষাক্ত অ্যালকোহল। বিশুদ্ধ মিথানল সামান্যমাত্রায় গ্রহণ করলেও তা অন্ধত্ব, যকৃৎ অকার্যকর এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে।
লাইসেন্সবিহীন মদ বিক্রেতারা অনেক কম দামে তাদের পণ্য বিক্রি করেন। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে প্রতি বছর বিষাক্ত মদপানে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। এই মৃতদের অধিকাংশই হতদরিদ্র।
এ ঘটনায় ছেলে হারানো এক নারী ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলে জানায়, মদপান করায় তার গুরুতর পেটে ব্যথা এবং চোখ খুলতে অসুবিধা হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রথমে তাকে মাতাল বলে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। রাজ্য সরকারের উচিত সব মদের দোকান বন্ধ করে দেওয়া।’
আরেকজন মা বলেন, ‘আমার ছেলের পেটে প্রচণ্ড ব্যথা। সে দেখতে ও শুনতেও পায় না। এটা যেনো কারও সঙ্গে না হয়। মদ বিক্রি বন্ধ করুন।’
তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন প্রত্যেক মৃতের পরিবারকে ১০ লাখ রুপি এবং প্রত্যেক অসুস্থের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি ক্ষতিপূরণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমা্যধম এক্স এক বার্তায় এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যার অবৈধ মদ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত, তাদের পুরো চক্রকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। ইতোমধ্যে দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার জন্য দায়ী পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় দুই মিনিট নীরবতা পালন করেছে।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ