২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের দ্বারা সংঘটিত অপব্যবহারের বিষয়ের তদন্তের ফলাফল উপস্থাপন করেন জাতিসংঘের ওই তদন্ত কমিশনের সদস্য। এ সময় বার্তা সংস্থা আল জাজিরাকে তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বিশ্বের অন্যতম অপরাধমূলক সেনাবাহিনী।’

ফিলিস্তিনে চলছে ইসরায়েলি বর্বরতা। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তাদের বর্বরতা থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী বৃদ্ধ থেকে শুরু করে নিষ্পাপ শিশুরাও। যা নাড়িয়ে দিচ্ছে গোট বিশ্বের মানুষদের। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর এমন কর্মকাণ্ডকে বিশ্বের সবচেয়ে ‘বর্বর’ বলে আখ্যায়িত করেছেন জাতিসংঘের তদন্ত কমিশনের সদস্য ক্রিস সিডোটি।

এছাড়া তদন্ত কমিশনের প্রধান এবং জাতিসংঘের মানবাধিকারের প্রাক্তন হাইকমিশনার ও দক্ষিণ আফ্রিকার হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারক নাভি পিলে ইসরাইলি যুদ্ধাপরাধের মাত্রাকে ‘অভূতপূর্ব’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন তার কমিশন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান প্রসিকিউটর করিম খানের কাছে ৭ হাজারটি প্রমাণ জমা দিয়েছে। যেখানে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকের যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত থাকার প্রমাণ রয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের বেশির ভাগ নারী ও শিশু। এছাড়াও আহত হয়েছেন ৮৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এসব অভিযোগ অবশ্য আমলে নিচ্ছেন না ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী

বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার দাবি ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী হলো ‘বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিক সেনাবাহিনী।’

তবে তার দাবি মানতে নারাজ জাতিসংঘের তদন্ত কমিশন। কমিশনের সদস্য ক্রিস সিডোটি রিপোর্টের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘আপনারা উপসংহারে পৌঁছাতে পারেন যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী সবচেয়ে অপরাধমূলক সেনাবাহিনীর একটি। মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইল দায়ী। তারা নির্মূল হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে ফিলিস্তিনে। পুরুষ এবং ছেলেদের লক্ষ্য করে লিঙ্গ নিপীড়ন; জোরপূর্বক স্থানান্তর; এবং নির্যাতন এবং অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে তাদের ওপর।’

নয়াশতাব্দী/জিএস