উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ জুন) প্রথম প্রহরে পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। বিমানবন্দরে আগে থেকেই অপেক্ষা করছিলেন কিম জং উন। পরে সেখানে পুতিনকে স্বাগত জানান কিম।
জানা গেছে, এরই মধ্যে ভ্লাদিমির পুতিন ও কিম জং উনের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়ে গেছে। উত্তর কোরিয়ার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে গুরুত্ব পাবে প্রতিরক্ষা ও অর্থনীতি।
প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানবন্দরে পুতিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আলিঙ্গন করছেন কিম। পরে সেখান থেকে মোটর শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়ে পুতিনকে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়া হয়। রাস্তার দুই পাশ সাজানো হয় রাশিয়ার পতাকা ও পুতিনের ছবি দিয়ে।
২৪ বছরের মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় এটাই পুতিনের প্রথম সফর। ইউক্রেনে হামলার পর থেকে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরালো হয়েছে। কারণ দুই দেশই পাশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়ছে।
পুতিন যে কোনো সময় উত্তর কোরিয়া সফর করতে পারেন বলে আগেই জানিয়েছিল ক্রেমলিন। তবে সোমবার তার এই সফরের দিন তারিখ নিশ্চিত করা হয় ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে।
সর্বশেষ ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে যাত্রা শুরুর দিকে উত্তর কোরিয়ায় সফর করেছিলেন পুতিন। তখন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা ছিলেন কিম জং ইল; যিনি দেশটির বতর্মান সর্বোচ্চ নেতা ও প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের বাবা।
সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গেলো কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।
তবে পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ভালোভাবে দেখছে না পশ্চিমারা, বিশেষ করে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। তাদের শঙ্কা, পুতিনের সফরের ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়বে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।
নয়াশতাব্দী/এনএইচ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ