বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ঐতিহাসিক বিদ্যাপীঠ মিশরের রাজধানী কায়রোস্থ জামেয়াতুল আজহার বা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। অসংখ্য বিদেশি ছাত্র-ছাত্রী আর ভিন্ন ভিন্ন সংস্কৃতির এক অসাধারণ মেলবন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বাংলাদেশিদের আগমণের ইতিহাস তিন দশকের বেশি নয়। তবে গত কয়েক বছরে বিশেষ করে গত দুই বছরে বিভিন্ন শাস্ত্রে উচ্চতর ডিগ্রি নিতে প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী আগমণ করেছে সভ্যতার সূতিকাগার বলে পরিচিত এ মিশরে।
বাংলাদেশি ছাত্রদের শিক্ষা-দীক্ষা, বাংলা সংস্কৃতি চর্চাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ধারা অব্যাহত রাখতে ‘আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটি বাংলাদেশ’ সহ কয়েকটি বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন কাজ করে যাচ্ছে অবিরত।
বরাবরের মতই এবার রোববার (১৬ জুন) রাজধানী কায়রোস্থ ছকরে কুরেশ বিখ্যাত গোল্ডেন প্যালেসে বাংলাদেশি ছাত্র সংগঠন আযহার ওয়েলফেয়ার সোসাইটির ব্যানারে মুসলমানদের অন্যতম উৎসব ঈদুল আজহা পূর্ণমিলনী বেশ জাঁকজমকপূর্ণ পালিত হয়েছে। মিশরে অবস্থানরত সোসাইটির সর্বস্তরের সদস্য, সহযোগী সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষী প্রবাসীরা প্রবাসের নিরস জীবনে সবাই মিলে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে সমবেত হয়েছিল এ অনুষ্ঠানে৷
শুরুতেই সায়েমুল হক জাওয়াদ ও সফিউল্লার যৌথ সঞ্চালনায় ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি ফয়েজ আহমাদ আজহারী। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য শীর্ষক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেন সংগঠনটির সিনিয়র সদস্য মাওলানা ড. হাসিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে প্রজেক্টর মাধ্যমে প্রচারিত ভিডিও বার্তায় মিশরে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনামূলক বিশেষ বক্তব্য দেন ঢাকা থেকে ইসালামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির অধ্যাপক, সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা প্রফেসর শাহেদ হারুন আজহারি। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা ইসলামী সংস্কৃতি কেন্দ্রের খতিব সংগঠনের সিনিয়র সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মতিন আজহারী, শাব্বীর আহমাদ খান আজহারী ও হুসাইন আহমাদ আজহারী৷
ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে হামদ-নাত, নবীন বরণ, কচি কাঁচাদের মাঝে পুরস্কার বিতরন, নাশীদ ও কৌতুক পরিবেশনার পর বিশ্বমানবতার কল্যাণ কামণা করে সম্মিলিত মুনাজাত করা হয়।
শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানটিতে ৪০০-এর অধিক প্রবাসী ও শিক্ষার্থী অতিথিকে কোরবানির গোশতে বাঙালি স্বাদে প্রস্তুতকৃত রাতের খাবারে আপ্যায়ন করা হয়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ