ইতালির দক্ষিণ উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ২৬ শিশুসহ নিখোঁজ রয়েছে ৬৬ জন। এ ঘটনায় ৫১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। জার্মান দাতব্য সংস্থা রেসকিউশিপের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় ১১ অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় নৌকাটি থেকে ৫১ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৭ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে জার্মান দাতব্য সংস্থা রিসকিউশিপ। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, উদ্ধারকারীরা ডুবে যাওয়া একটি কাঠের নৌকা থেকে মোট ৬১ জনকে উদ্ধার করেন। তাদের মধ্যে ১১ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
দাতব্য সংস্থার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্থাটি বলছে, উদ্ধারকৃতদের জরুরি নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা প্রয়োজন অন্যদিকে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।
এদিকে ঠিক কোন অঞ্চল থেকে বা কখন এই উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল সে সম্পর্কে বিস্তারিত কোনও তথ্য জানায়নি রেসকিউশিপ। তবে, মেরিনেটট্রাফিক ডটকমের ট্র্যাকিংয়ের তথ্যানুসারে, নাদির নামে একটি অভিবাসী উদ্ধারকারী জাহাজ পরিচালনা করে রেসকিউশিপ। সেটি সোমবার (১৭ জুন) পূর্ব তিউনিসিয়ার স্ফ্যাক্স বন্দর থেকে দূরে অবস্থান করছিল।
ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ