ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

সিকিমে ভারী বৃষ্টি-বন্যায় নিহত ৬, আটকা ১৫০০ পর্যটক

প্রকাশনার সময়: ১৪ জুন ২০২৪, ১২:১৮

প্রবল বৃষ্টিপাত হচ্ছে ভারতের অন্যতম পর্যটন স্পট সিকিমে। টানা বর্ষণে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যটির উত্তরাঞ্চলের লাচুং ও লাচেনসহ বেশ কয়েকটি শহরে। পাহাড়ি ধসে বন্ধ হয়ে গেছে বহু সড়ক। পানির তোড়ে ভেঙে গেছে বেইলি সেতু। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে রাজ্যের বিভিন্ন শহরে আটকে পড়েছেন অন্তত দেড় হাজার পর্যটক।

শুক্রবার (১৪ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর সিকিমের মাঙ্গান জেলায় অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ব্যাপক ভূমিধসে কমপক্ষে ছয়জন নিহত এবং ১৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন বলে কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন।

এছাড়া সাংকালাংয়ে একটি নবনির্মিত বেইলি ব্রিজ ধসে পড়ে মাঙ্গানের সঙ্গে জংগু এবং চুংথাংয়ের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ভূমিধসের কারণে রাস্তার বিভিন্ন অংশ অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়ি প্লাবিত বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিদ্যুতের খুঁটিও ভেসে গেছে বলে জানিয়েছেন তারা।

গুরুডংমার লেক এবং ইউনথাং উপত্যকার মতো জনপ্রিয় পর্যটন স্পটগুলোর জন্য পরিচিত মাঙ্গান জেলার জংগু, চুংথাং, লাচেন এবং লাচুং-এর মতো শহরগুলো এখন ভারতের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন।

মাঙ্গান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেম কুমার ছেত্রি বলেন, ‘পাকশেপ এবং আম্বিথাং গ্রামে তিনজন করে মারা গেছেন।’

এছাড়া গেইথাং ও নামপাথাংয়ে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য পাকশেপে ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে বলেও ছেত্রি জানিয়েছেন।

জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গত বুধবার রাত থেকে মাঙ্গান জেলায় এবং এর আশপাশে অবিরাম বৃষ্টিপাতের পরে পরিস্থিতির পর্যালোচনা করতে অন্যান্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ চালানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে উত্তর সিকিমে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবাগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঙ্গনে রেশনসহ এসডিআরএফ-এর দল পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

গত বছরের অক্টোবরে তিস্তা নদীতে ব্যাপক বন্যার পর সাংকালংয়ে ধসে পড়া বেইলি ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কর্তৃপক্ষ যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক সংযোগ প্রস্তুত না করা পর্যন্ত আটকে পড়া পর্যটকদের যে যেখানে আছেন সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমসিং তামাং অবশ্য জানিয়েছেন, সরকার ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজ এবং মানুষের কাছে দ্রুত সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছে।

এদিকে আগামী আরও দুই দিন সিকিমে প্রবল বৃষ্টি হতে পারে বলে সেখানকার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। গত বুধবার গ্যাংটকে ৬১ ও গেজিংয়ে ৬৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া রাভাংলাতে হয়েছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল ১১৯ মিলিমিটারের বেশি। আর মঙ্গন জেলাতে ২২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ