রাত গভীর হয়ে গেলেও স্ত্রী ফরিদা বাড়িতে না ফেরায় বেশ চিন্তিত হন তার স্বামী। বাড়ির আশপাশে খোঁজ শুরু করেন তিনি। একটা পর্যায়ে তিনি ফরিদার সঙ্গে থাকা কিছু জিনিসপত্র এক জায়গায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসব দেখে সন্দেহও হওয়ায় পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খোঁজ শুরু করেন তিনি। ঘটনার একদিন পর ফরিদার মৃতদেহ পাওয়া যায় বিশাল আকৃতির এক অজগরের পেটে।
ইন্দোনেশিয়ার এক নারী নিখোঁজ হওয়ার একদিন পরে বিশাল আকৃতির একটি সাপের পেটের ভিতর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার সুলাওয়েসি অঞ্চলের মুনা আইল্যান্ডের পারসিপান লাওয়েলাতে এ ঘটনা ঘটে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওয়া টিবার নামক ৫৪ বছর বয়সী ওই নারী বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাতে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে তার সন্ধানে অভিযান শুরু করেন আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার (৮ জুন) কালেম্পাং গ্রামের প্রধান সুয়ার্দি রোজি এএফপিকে বলেন, বৃহস্পতিবার ফরিদার স্বামী স্ত্রীকে না পাওয়ার বিষয়টি জানালে প্রতিবেশীরা ওই এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। পরদিন শুক্রবার তল্লাশি শুরুর একটু পরেই তারা একটি অজগর দেখতে পান। অজগরটির পেট অস্বাভাবিক বড় দেখাচ্ছিল। ফলে, তারা সাপটির পেট কাটার সিদ্ধান্ত নেন। পেট কাটতেই ফরিদার মাথা বেরিয়ে পড়ে। পরে অজগরের পেট থেকে বেরিয়ে আসে ফরিদার মরদেহ। অজগরটি ফরিদাকে জামাকাপড়সহ আস্ত গিলে ফেলেছিল।
শুক্রবার টিবার যে জায়গা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন তার পাশেই একটি পাইথন প্রজাতির বিরাটি একটি সাপ দেখতে পায় লোকজন। অনেকের সন্দেহ হয়, ওই নারীকে সাপটি গিলে ফেলেছে। পাইথনটিকে খুঁজে পাওয়া যায়।
স্থানীয় পুলিশপ্রধান হামকা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে ওই নারী বাগান থেকে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজনসহ প্রায় একশ মানুষ তার খোঁজ শুরু করে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়েছিল সাপটি ওই নারীকে গিলে ফেলেছে। তাই তারা সেটাকে মেরে বাগানের বাইরে নিয়ে আসে। পরে সাপটার পেট কাটলে আসলেই ওয়া টিবারের মরদেহ বেরিয়ে আসে।
হামকা আরও জানান, গ্রামবাসীরা ওই বিশালাকৃতি সাপটাকে টিবার জুতা ও অন্যান্য জিনিসপত্রের ওপর দেখতে পেয়েছিল। সাপটি ওই নারীর মাথাটা আগে গিলে ফেলেছিল, তাই মাথা বাদে দেহের বাকি সব অংশ অক্ষত ছিল।
জানা গেছে, টিবার যে অঞ্চল থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন, সেটি পাথুরে ও গুহায় ভরা। তাছাড়া জায়গাটি বিভিন্ন প্রজাতির সাপের বাসস্থল হিসেবেও পরিচিত। ওই অঞ্চলে প্রায় ছয় মিটার দৈর্ঘ্যের পাইথন দেখতে পাওয়া যায়।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ