ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ জিলহজ ১৪৪৫

ইসরায়েলের হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত

প্রকাশনার সময়: ০৩ জুন ২০২৪, ১১:১৯ | আপডেট: ০৩ জুন ২০২৪, ১১:২২

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার কেন্দ্রে একটি ক্যাম্পে এই হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। সর্বশেষ এ হামলায় ক্যাম্পের ৬ জন নারী ও শিশু নিহত হয়। এ ছাড়া পৃথক হামলায় আরও চারজন মিলে মোট ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৩ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনের সরকারি বার্তাসংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে। হামলায় নিহতদের সবাই শিশু ও নারী।

এদিকে হামলায় নিহত ছয় শিশু ও নারীর লাশ দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য সূত্র ওয়াফাকে জানিয়েছে। এ ছাড়া হামলার পর উদ্ধারকারীরা এখনও বেঁচে যাওয়াদের খোঁজে ধ্বংসস্তূপে তল্লাশি করছে। সোমবার মধ্যরাতের পর আকাল পরিবারের একটি বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

বুরেইজ শরণার্থী শিবিরটি নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে প্রায় ২ কিমি (১.২৪ মাইল) দূরে অবস্থিত। এই হামলার আগে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নুসেইরাতেও চারজন নিহত হয়েছেন।

ওয়াফা নিউজ এজেন্সি এবং আল জাজিরার সংবাদদাতা জানিয়েছেন, এই হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় হামাস। ইসরায়েলের দাবি, এ হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া হামাসের যোদ্ধারা ২৫৩ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর থেকেই গাজায় পাল্টা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। শুরুতে গাজার উত্তরাঞ্চলে হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। পরবর্তীতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও তাদের আগ্রাসন ছড়ায়।

এদিকে ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে কমপক্ষে ৩৬ হাজার ৪৩৯ জনে পৌঁছেছে বলে রোববার অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামলায় আরও ৮২ হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছেন।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

নয়াশতাব্দী/এনএইচ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ