মিসরীয় সীমান্তের নিকটবর্তী বাফার জোনের তিন-চতুর্থাংশ নিয়ন্ত্রণে করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জাকি হানেগবি বলেছেন, হামাস যেন অস্ত্র চোরাচালান করতে না পারে, তাই বাফার জোনের পুরোটা নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় ইসরায়েলে।
গাজায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। বর্তমানে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠেছে রাফায়। সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে চলছে তীব্র লড়াই। এরই মধ্য গাজার দক্ষিণের শহরে প্রবেশ করেছে ইসরায়েলি ট্যাংক। আকাশ থেকে ফেলা হচ্ছে বোমা। ফলে ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে নাটকীয়ভাবে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা ও মিসর সীমান্তের করিডোর নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এটি ফিলাডেলফিয়া করিডোর নামে পরিচিত। বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিন্দা শুরু হলেও রাফায় স্থল অভিযান অব্যাহত রেখেছে দখলদার বাহিনী।
গত ৭ অক্টোবরের পর ইসরায়েলের অব্যাহত ভয়াবহ হামলায় ৩৬ হাজার ১৭১ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। বুধবার (২৯ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু। আহত হয়েছেন ৮১ হাজার ৪২০ জন।
এদিকে গাজা যুদ্ধের ভয়াবহতার বিষয়ে পশ্চিমা নেতা ও জাতিসংঘের তীব্র সমালোচনা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। তাদের ইসরায়েলের চালানো নৃশংসতার সহযোগী বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, নীরবতা পালনের মাধ্যমে ইসরায়েলের ভ্যাম্পাইরিজমের সহযোগীতে পরিণত হয়েছে ইউরোপীয় সরকারপ্রধানরা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের হাত রক্তে রঞ্জিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নয়াশতাব্দী/জিএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ