ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তের ফল প্রকাশ করেছে দেশটির সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়েছে।
এর আগে সোমবার (২০ মে) ইরানের সামরিক কর্মকর্তার মাধ্যমে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করে বলে জানিয়েছে মেহের নিউজ এজেন্সি।
ইরানের আধাসরকারি নিউজ এজেন্সিটি জানিয়েছে, প্রতিবেদনে রাইসির হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার নতুন তথ্য উঠে এসেছে।
এতে দাবি করা হয়েছে, গুলি বা বোমা ছুড়ে রাইসির হেলিকপ্টারটিকে ভূপাতিত করা হয়নি। তদন্তকারীরা নিশ্চিত করেছে, মাটিতে আঘাত করার পরই হেলিকপ্টারটিতে আগুন ধরে গিয়েছিল। কারণ হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষে গুলি বা বোমার আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
তদন্তে আরও জানা গেছে, পথে সবসময়ই অন্য দুটি হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে উড়ছিল রাইসির হেলিকপ্টার। এটি কখনই পথ হারায়নি, নির্ধারিত ফ্লাইট পথ ছাড়া অন্য কোনো দিকে যায়নি। কারণ বিধ্বস্ত হওয়ার প্রায় দেড় মিনিট আগেও হেলিকপ্টারটির পাইলট বহরের অন্য দুই হেলিকপ্টারের পাইলটদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
তাদের কথোপকথনের মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি বলেও তদন্তের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ তদন্ত আরও চলবে বলে জানা গেছে।
গত ১৯ মে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ দেশটির কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। আকাশের ঘন কুয়াশা ও বৈরী আবহাওয়ায় হার্ড ল্যান্ডিং করতে গিয়ে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয় বলে সে সময় জানানো হয়।
নয়াশতাব্দী/টিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ