ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

দক্ষিণ কোরিয়ায় মসজিদ নির্মাণ করলেন ইউটিউবার দাউদ কিম

প্রকাশনার সময়: ২৪ মে ২০২৪, ১৫:০২

জন্মভূমি দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি মসজিদ নির্মাণ করার স্বপ্ন ছিল জনপ্রিয় ইউটিউবার তারকা দাউদ কিমের। বহু বাধা-বিপত্তি কাঁধে নিয়ে অবশেষে সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন তিনি। দেশটির ইনচিওনে ধর্মপ্রাণ স্থানীয় মুসলিমদের জন্য কিম বানিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ্‌র ঘর।

বর্তমানের জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং ধর্মপ্রাণ মুসলিম দাউদ কিমের পূর্ব নাম ছিল জে কিম। ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণের তার নাম পাল্টে হয় দাউদ কিম। সম্প্রতি একটি হৃদয়স্পর্শী ভিডিও প্রকাশ করেন এই তারকা। সেখানে দেখা যায়, ইয়ংজং দ্বীপে মসজিদ নির্মাণের বিভিন্ন বিষয়াদির পাশাপাশি তাকে সাহায্যকারী দলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন এই ইউটিউবার।

ইনস্টাগ্রামে দেওয়া এক পোস্টে কৃতজ্ঞতা এবং আনন্দ প্রকাশ করে দাউদ কিম লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে আমি এটি করতে পেরেছি। আপনাদের সহায়তায় আমি আল্লাহর ঘর বানিয়েছি। ধন্যবাদ।’

কিম তার অনুসারীদের নিজের লক্ষ্য এবং স্বেচ্ছাসেবাকে সমর্থন করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তিনি মসজিদ উদ্বোধনের মুহূর্তগুলোও শেয়ার করেছেন, যেখানে কিমসহ অন্য অনেকে প্রার্থনা করেছেন।

জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণের এই যাত্রায় নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছেন দাউদ কিম। ১ লাখ ৩৬ হাজার ৫০০ ডলারে মসজিদের জন্য জমি কিনেছিলেন তিনি। এই অর্থের বেশিরভাগই এসেছে অনুদান থেকে। মসজিদ নির্মাণ করতে গিয়ে ইনচিওনের স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরোধিতার সম্মুখীন হন কিম, যার ফলে জমির মালিক চুক্তিও বাতিল করেছিলেন।

এসব বাধা সত্ত্বেও দাউদ কিম দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি স্থানীয় প্রতিরোধ কাটিয়ে সফলভাবে মসজিদটি নির্মাণ করেন।

২০২০ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন কোরিয়ান পপ তারকা জে কিম। ইউটিউবে তার সাড়ে ৫ মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার রয়েছে। অনেক আগে তার এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দক্ষিণ কোরিয়ার মুসলিমদের জন্য মসজিদ নির্মাণের তীব্র ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি। এই প্রকল্পের জন্য তিনি তার ভক্তদের কাছ থেকে আর্থিক সহায়তার আশাও করেন।

২০১৫ সালের আদমশুমারির তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৫৬ শতাংশ ধর্মহীন, প্রোটেস্ট্যান্ট ১৯ শতাংশ, কোরিয়ান বৌদ্ধ ১৫.৫ শতাংশ এবং ক্যাথলিক ৮ শতাংশ অনুসরণ করে।

দেশটিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার মুসলমানের বাসস্থান। তাদের মধ্যে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার শ্রমিক প্রাথমিকভাবে উজবেকিস্তান, বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া এবং পাকিস্তান থেকে যখন ৩০ হাজার ছাত্র এবং ব্যবসায়ী।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ