ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির মৃত্যুতে বাংলাদেশে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালন করা হচ্ছে। নিহত প্রেসিডেন্টের জানাজা ও স্মরণ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশ থেকে মন্ত্রী পর্যায়ের ব্যক্তিরা অংশ নিলেও এসব অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন তেহরানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান।
মঙ্গলবার (২১ মে) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টায় ইব্রাহিম রাইসি ও আমির আবদোল্লাহিয়ানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার বিকাল চারটায় রাইসির স্মরণানুষ্ঠানে যোগ দেন বিদেশি অতিথিরা।
ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রাইসিকে শেষ বিদায় জানাতে ৫০টি দেশের অন্তত ৬৮ জন কর্মকর্তা অংশ নেন। যারা মধ্যে ছিলেন ভারতের উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়। ছিলেন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। যে দেশটির সাথে ইরানের ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধ চলেছে সেই ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদাইনি’ও ছিলেন। ছিলেন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আস-সানি। এছাড়াও ছিলেন বেলারুশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই অ্যালেইনিক, আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাসিনিয়ান এবং কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ আলী আল-ইয়াহইয়া, তুর্কমেনিস্তানের ন্যাশনাল লিডার গুরবাঙ্গুলী বেরদিমুহামেদভ, তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইমোমালি রহমান এবং তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদ।
অতিথিদের মধ্যে আরও ছিলেন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ, লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহর উপপ্রধান নাইম কাসেম এবং আফগানিস্তানের শাসকগোষ্ঠী তালেবানের অর্থনীতি বিষয়ক উপপ্রধানমন্ত্রী আবদুল গনি বারাদার এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি।
গত রোববার (১৯ মে) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুদেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান প্রেসিডেন্ট রাইসি। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানসহ অন্য কর্মকর্তারা। পথে জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী বেল-২১২ মডেলের হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়।
প্রায় ১৬ ঘণ্টা পর ওই হেলিকপ্টারের সব আরোহীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে দেশটির সংবাদমাধ্যম।নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ