তাইওয়ান ঘিরে চীন ব্যাপক সামরিক মহড়া শুরু করেছে। চীন স্বশাসিত দ্বীপটির বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের জন্য কড়া শাস্তি হিসেবে তাইওয়ানের চারপাশে দুই দিনের এ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকালে এ মহড়া শুরু হয়।
দুই দিন আগেই তাইওয়ানে নতুন প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নিয়েছেন এবং এর পরই চীনের এ সামরিক মহড়া শুরু হলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বশাসিত তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরে চীন সামরিক মহড়া শুরু করেছে বলে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, পিপলস লিবারেশন আর্মির ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড বৃহস্পতিবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে তাইওয়ান প্রণালীর পাশাপাশি তাইওয়ানের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব এবং সেই সঙ্গে কিনমেন, মাতসু, উকিউ এবং ডংগিন দ্বীপের চারপাশের এলাকায় মহড়া শুরু করে।
শপথ গ্রহণের পর সোমবার (২১ মে) জনসাধারণের উদ্দেশে নিজের প্রথম ভাষণে লাই বলেন, তাইওয়ান একটি সার্বভৌম এবং স্বাধীন দেশ যার সার্বভৌমত্ব জনগণের মধ্যে রয়েছে। একই সঙ্গে তার সরকার তাইওয়ানের গণতন্ত্র ও স্বাধীন তার বিষয়ে কোনো ছাড় দেবে না বলেও জোর দেন তিনি। এ সময় তিনি বেইজিংকে তাইওয়ানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ করতে এবং তাইওয়ান প্রণালি ও এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য আহ্বান জানান। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই তার এ বক্তব্যের নিন্দা করেছেন।
চীনের সামরিক বাহিনী বলেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) শুরু হওয়া এ মহড়ায় যৌথ সমুদ্র-আকাশপথে যুদ্ধ-প্রস্তুতি টহল, মূল লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল হামলা এবং দ্বীপ চেইনের অভ্যন্তরে ও বাইরে সমন্বিত অভিযানের ওপর ফোকাস করা হয়েছে।
চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র লি শি বলেছেন, তাইওয়ানের স্বাধীনতা বাহিনীর বিচ্ছিন্নতাবাদী কর্মকাণ্ডের জন্য কঠোর শাস্তি এবং বহিরাগত শক্তির হস্তক্ষেপ ও উসকানির বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা হিসেবে যৌথ এ মহড়া চালানো হচ্ছে।
অবশ্য চীনের এ সামরিক মহড়া কতদিন চলবে তা বলা হয়নি।
নয়াশতাব্দী/জিএস/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ