দক্ষিণ-পূর্ব ইরানের সিস্তান ও বেলুচিস্তান প্রদেশে অবস্থিত চাবাহার সমুদ্রবন্দর উন্নয়নের জন্য ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত এবং ইরান। এ চুক্তি সইয়ের পরপরই ভারতকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় যুক্তরাষ্ট্র। হুমকি দেওয়ার একদিন না পেরোতেই যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিয়েছে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সোজা ভাষায় বলে দিয়েছেন, এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিৎ নয়।
জয়শঙ্করের ভাষ্য, ‘এই প্রকল্পে সকলেই উপকৃত হবেন। এই নিয়ে সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে চলবে না।’ অতীতে যে যুক্তরাষ্ট্র নিজেও চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব নিয়ে কথা বলেছে, সেই উদাহরণও তুলে ধরেন জয়শঙ্কর।
জয়শঙ্কর আরও জানান, এই প্রকল্পের সাথে ভারতের একটি দীর্ঘ সম্পর্ক ছিল কিন্তু একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হয়নি; যেটি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লি সমস্যাগুলি সমাধান করতে এবং দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে সক্ষম হয়েছে; যা সমগ্র অঞ্চলকে উপকৃত করবে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৪ মে) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কের ভাষ্য ছিল এমন, তেহরানের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তির কথা চিন্তা করার আগে যে কারও ‘নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকি’ সম্পর্কে সচেতন থাকা দরকার।
এ প্রসঙ্গে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, চাবাহার বন্দর নিয়ে ভারত ও ইরানের চুক্তির বিষয়ে আমরা অবগত। ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। ইরানের সঙ্গে চাবাহার বন্দর নিয়ে তাদের সেই চুক্তিও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আওতায় পড়ে। তবে, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি আছে এবং থাকবে। যে কেউ ইরানের সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন করতে চাইলে, তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ইন্ডিয়ান পোর্টস গ্লোবাল লিমিটেড (আইপিজিএল) এবং ইরানের পোর্ট অ্যান্ড মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (পিএমও)-এর মধ্যে গত সোমবার (১৩ মে) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ