আফগানিস্তানের বাঘলান প্রদেশে আকস্মিক বন্যায় এখন পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে; আরও হতাহতের আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও এই বন্যায় কয়েক হাজার বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) বাঘলানে অস্বাভাবিক ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে সেখানে আকস্মিক বন্যার (ফ্ল্যাশ ফ্লাড) সৃষ্টি হয়।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার বরাত দিয়ে ব্রিটিশ গণমাধ্যম প্রেসটিভির খবরে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের এ বন্যায় একদিনে অন্তত ২০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। শুধুমাত্র বাঘলানি জাদিদ জেলাতেই ১৫০০ বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং সেখানকার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে।
এদিকে দেশটির তালেবান সরকার প্রাথমিকভাবে ৬২ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। তালেবানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, উত্তর আফগানিস্তানে ভয়াবহ বন্যায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫১ জনে দাঁড়িয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল মতিন কানি জানিয়েছেন, শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে এ বন্যায় অন্তত ১৩৫ জন আহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে গত শীত মৌসুমটি শুষ্ক ছিল। ফলে সেখানে যে পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে এই বৃষ্টি মাটি শুষে নিতে পারছে না। দেশটি জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক হুমকিতে ছিল। যার ফলাফল এখন বাস্তবে দেখা যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে, অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ায় এমন বড় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য আফগানিস্তান প্রস্তুত নয়। গত চার দশক আফগানিস্তানে যুদ্ধ-বিগ্রহ লেগে ছিল। এ কারণে দেশটির অর্থনীতি অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল।
সূত্র: প্রেস টিভি, রয়টার্স, ইকোনোমিক টাইমস
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ