ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্ম হিন্দু সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা কমছে। অন্যদিকে লাফিয়ে বাড়ছে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা। অর্থাৎ, ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা সঙ্কুচিত হওয়ার পাশাপাশি মুসলিম, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ এবং শিখ সহ সংখ্যালঘুদের অংশ বেড়েছে। তবে জনসংখ্যার সংমিশ্রণে জৈন ও পার্সিদের সংখ্যা কমেছে।
সম্প্রতি দেশটির প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের ১৯৫০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে করা এক সমীক্ষায় এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিগত ৬৫ বছরে ভারতের মোট জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ ৮৪.৬৮ শতাংশ থেকে কমে ৭৮.০৬ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ ভারতের জনসংখ্যায় হিন্দুদের ভাগ কমেছে ৭.৮ শতাংশ।
অন্যদিকে, ১৯৫০ সালে মোট জনসংখ্যায় মুসলিম সম্প্রদায়ের অংশ ছিল ৯.৮৪ শতাংশ। যা ২০১৫ সালে ১৪.০৯ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। এইভাবে মোট জনসংখ্যায় তাদের অংশ বেড়েছে ৪৩.১৫ শতাংশ। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, মায়ানমারের পরে ভারত দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ যেখানে মোট জনসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ হ্রাস পেয়েছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিয়ে দেশে আলোচনা চলছে। অথচ তার বিপরীতে সত্যটি হল যে ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কেবল সম্পূর্ণ নিরাপদই নয়, বরং এই সম্প্রদায় সমৃদ্ধও হচ্ছে।
যদিও এই রিপোর্টে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, ভুটান এবং আফগানিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় সম্প্রদায়ের অংশ বৃদ্ধি পাওয়া ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অংশ হ্রাস পাওয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।
সূত্র: আজতাক বাংলা, এই সময়
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ