ইসরায়েলের হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা এখন পুরোটাই ধ্বংসস্তূপ। শুধু বাকি রয়েছে ভূখণ্ডটির রাফা শহর। ধ্বংস্তূপে পরিণত করতে এ শহরটিও বাদ রাখতে চাইছে না ইসরায়েল। যদিও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রাফায় হামলা চালানোর বিরোধিতা করে আসছে; যেহেতু লাখ লাখ ফিলিস্তিনিদের এই মুহূর্তে শেষ আশ্রয়স্থল এই রাফা শহর।
কিন্তু, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সাফ ঘোষণা, হামাসের সঙ্গে চুক্তি হোক বা না হোক, রাফাতে হামলা চালিয়েই ছাড়বে ইসরায়েল। আর এমন ঘোষণায় ইসরায়েলের ওপর একেবারে চড়াও হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জানালেন, এই মুহূর্তে রাফায় হামলা চালালে ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারে ওয়াশিংটন। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন হুঁশিয়ারি দেন বাইডেন।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) এক প্রতিবেদনে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার রাফা শহরে বড় ধরনের স্থল অভিযান শুরু করলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটিতে কিছু অস্ত্র সরবরাহ করা বন্ধ করে দেবে। সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাইডেনের ভাষ্য, ‘যদি তারা রাফাতে যায়, আমি সেসব অস্ত্র আর সরবরাহ করব না, যা রাফার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।’
যদিও এই বিবৃতিতেই ইসরায়েলকে নিরাপদ রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন এই মার্কিন ডেমোক্র্যাটিক নেতা।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, রাফা শহরে বড় ধরনের কোনও অভিযান চালানো হলে তা ব্যাপক বেসামরিক হতাহতের কারণ হতে পারে। এরই প্রেক্ষিতে বাইডেনের ভাষ্য, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভাকে আমি (বাইডেন) স্পষ্ট বলেছি, যদি তারা জনবহুল এলাকগুলোতে অভিযান চালায়, তাহলে তারা আমাদের সমর্থন পাবে না।’
প্রেসিডেন্ট বাইডেন স্বীকার করেছেন, গাজার বেসামরিক লোকদের হত্যার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ব্যবহার করেছে ইসরায়েল। অবশ্য ইসরায়েল গাজায় ‘রেড লাইন’ বা চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করেছে কিনা জানতে চাইলে মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট উত্তর দেন- ‘এখনও না’।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে ইসরায়েলে হাজার হাজার বোমার চালান বিলম্বিত করেছে এবং বলেছে, এসব অস্ত্র ভবিষ্যতে সরবরাহের বিষয়ে পর্যালোচনা করছে তারা।
এদিকে বিবিসি বলছে, দৃঢ় এবং সোচ্চার মার্কিন বিরোধিতা সত্ত্বেও, ইসরায়েল রাফাতে বড় আকারের আগ্রাসন চালানোর জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে। দক্ষিণ গাজার ঘনবসতিপূর্ণ এই অংশটি ভূখণ্ডে হামাসের শেষ প্রধান শক্ত ঘাঁটি।নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ