হামাসের শীর্ষ নেতারা নিজেদের ঘাঁটি কাতার থেকে অন্য কোনো দেশে সরিয়ে নিতে চান। ইতোমধ্যে তারা মধ্যপ্রাচ্যের দুটি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। এর একটি ওমান। অন্যদিকে, তুরস্কের প্রসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আঙ্কারায় রয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। কাতার থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত এবং এরদোয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ভিন্ন বার্তা দেয়। কারণ, তুর্কি প্রেসিডেন্ট যুদ্ধ বন্ধের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় থাকতে চান। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের।
মূলত গাজায় শান্তি স্থাপনে ব্যর্থতা ও তার জেরে কাতার সরকারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব এবং সম্পর্কে অবনতির জেরে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
কাতারের দুজন সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি-সংক্রান্ত আলোচনা কার্যত থেমে আছে। শিগগির তা চালুর সম্ভাবনাও কম। যুদ্ধ বর্তমানে যে পর্যায় চলছে, তা কাতার ও হামাস উভয়ের জন্যই অস্বস্তিকর। এতে উভয় পক্ষের মধ্যেই অবিশ্বাস সৃষ্টি হয়েছে।
এক কর্মকর্তা বলেন, কাতার শুরু থেকে যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে ভূমিকা রেখে আছে। যুদ্ধ থামানোর জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সবই করেছে দোহা।
আরেক কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘যুদ্ধবিরতির আলোচনার পরিস্থিতি খুবই হতাশাজনক। তবে আমরা এটুকু বলতে পারি, কাতার তার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।’
গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় রয়েছে কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে, এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার জন্য গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় পৌঁছেছেন হামাস নেতা হানিয়া। চলমান গাজা সংঘাত নিয়ে আলোচনা করবেন তারা। হানিয়ার এই সফরে হামাসের প্রতিনিধি দল রয়েছে।
এরদোয়ান গত বুধবার জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনিদের সংগ্রামে তার সমর্থন অব্যাহত থাকবে। তবে হানিয়ার সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত বলতে রাজি হননি এরদোয়ান।
ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৪ হাজার ৪৯।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ