শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১

মিল্কিওয়েতে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোলের আবিষ্কার!

প্রকাশনার সময়: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২৮ | আপডেট: ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৭

মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি বা নিজেদের ছায়াপথের সবচেয়ে বড় ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর খুঁজে পাওয়ার দাবি করেছেন জ্যোতির্বিদেরা। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান জানায়, গত মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে এই কৃষ্ণগহ্বরের তথ্য জানিয়েছেন ফ্রান্সের গবেষকেরা।

অবজারভেটরি দা প্যারিসের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সায়েন্টিফিক রিসার্চের জ্যোতির্বিদ পাসকোয়েল পানুজ্জো জানান, কৃষ্ণগহ্বরটির আবিষ্কার আকস্মিকভাবে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘এটি বিস্ময়কর’। ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার গাইয়া মিশনের সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণ করতে গিয়ে এটির সন্ধান পাওয়া যায় বলে জানান এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী।

নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বরটির নাম বিএইচ৩। পৃথিবী থেকে ২ হাজার আলোকবর্ষেরও কম দূরত্বে অবস্থিত কৃষ্ণগহ্বরটির ভর সূর্যের চেয়ে ৩৩ গুণ বেশি। পাসকোয়েল জানিয়েছেন, এটি পৃথিবী থেকে দ্বিতীয় নিকটবর্তী ব্ল্যাকহোল।

গার্ডিয়ানে বলা হয়েছে, এই ধরনের কৃষ্ণগহ্বরের দেখা এতদিন মিলত দূরবর্তী ছায়াপথগুলোতে। একরকম লুকিয়েই থাকে এ ধরনের ব্ল্যাকহোলগুলো। এছাড়াও দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের কৃষ্ণগহ্বরগুলোর কাছাকাছি তেমন নক্ষত্র থাকে না, ফলে আলো শুষতে পারে না। আর সেই কারণে তাদের খুঁজে পাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে। এদের ‘ঘুমন্ত’ বলে চিহ্নিত করা হয়। নতুন আবিষ্কৃত বিএইচ৩ কৃষ্ণগহ্বরটিকে তাই বলা হচ্ছে ‘ঘুমন্ত দানব’।

নতুন আবিস্কৃত এই কৃষ্ণগহ্বর - ব্ল্যাকহোল বা এর সৃষ্টি সম্বন্ধে নতুন ধারণা দিতে পারে। যেমন, কীভাবে বড় বড় নক্ষত্রগুলো জন্মায় ও বেড়ে ওঠে, তাদের পরিণতিই বা কী সে সম্পর্কে বুঝতেও সাহায্য করবে এই নতুন আবিষ্কৃত কৃষ্ণগহ্বর।

প্রথমে বিজ্ঞানীরা অ্যাকুইলা নামের নক্ষত্রপুঞ্জে খুঁজে পেয়েছিলেন এক পুরনো দৈত্যাকার তারা। কিন্তু দেখা যায়, তার চলনে একটা অস্বাভাবিকতা রয়েছে। যার কারণ খুঁজতে গিয়ে বোঝা যায়, সেটি এক অদৃশ্য কৃষ্ণগহ্বরের সঙ্গে একই কক্ষপথে আবদ্ধ। এই নিয়ে এমন ধরনের তিনটি কৃষ্ণগহ্বরের খোঁজ মিলল।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ