ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

‘পৃথিবীর শেষ দিনের’ ভয়ে দলে দলে বাঙ্কার বানাচ্ছেন বিশ্ব ধনীরা 

প্রকাশনার সময়: ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৩

‘বাঙ্কার’ হলো একটি প্রতিরক্ষামূলক সামরিক দুর্গ যা পতনশীল বোমা, আর্টিলারি বা অন্যান্য আক্রমণ থেকে মানুষ এবং মূল্যবান সামগ্রীকে রক্ষা করার জন্য এর ডিজাইন করা হয়ে থাকে।

শত্রুর হাত থেকে বাঁচতে বা আক্রমণের আগে কৌশলগত কারণেই বাঙ্কারে আশ্রয় নেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। কিন্তু বেসামরিক কেউ যখন বাঙ্কারে থাকতে চান তখন বিষয়টি অন্যরকমই লাগার কথা। আবার সেটা যদি হয় বিশ্বের ধনকুবেরদের বাসনা, তাহলে তা আলোচনার বিষয় হওয়াই স্বাভাবিক।

যেই তালিকায় আছেন পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত ধনীরা। তাদের মূল উদ্দেশ্য নিরাপদ আশ্রয় গড়া। একবার ভাবতে পারেন তারা সুরক্ষিত বাড়িতে থাকেন, নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের ২৪ ঘণ্টায় পাহারায় রাখেন তারপরও তারা অনিরাপদবোধ করছেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে যে উত্তর বেশি শোনা যায় তা হলো, ‘পৃথিবীর শেষ দিনের’ ভয়। অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংসের দিনেও তারা নিজেদের নিরাপদ স্থানে দেখতে চান, আর সেটা মাথায় রেখেই এত আয়োজন। অবশ্য এর বাইরেও আরও কিছু কারণ রয়েছে। আসুন জানব কারা সেই সব ব্যক্তি।

তালিকার সর্বপ্রথমে রয়েছে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। বেশ কয়েকবছর ধরেই তার নির্মাণাধীন বাংকার নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। প্রায় ২৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের কাওয়াই দ্বীপে তৈরি করছেন বাঙ্কার। যে প্রকল্পটিতে প্রায় ১ হাজার ৪০০ একর জায়গা নিয়ে প্রাসাদ, অত্যাধুনিক অট্টালিকা, ট্রি হাউস, টানেলসহ থাকবে পাঁচ হাজার বর্গমিটারের ভূগর্ভস্থ আশ্রয়স্থল। নিজস্ব শক্তি ও খাদ্য সরবরাহব্যবস্থা এটিকে পূর্ণতা দেবে।

যেকোনো ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করতে রাখা হবে বিস্ফোরণ-প্রতিরোধী দরজা। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার দূরে প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে এই দ্বীপের অবস্থান। যেখানে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে স্বচ্ছন্দে জীবন কাটাতে পারবেন বলেই ধারণা প্রযুক্তিজগতের এই ধনকুবের।

এরপরেই রয়েছেন অর্থ লেনদেনের সেবা পেপ্যালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পিটার থিয়েল। তিনি তাসমান সাগর পাড়ের দেশ নিউজিল্যান্ডের একটি দ্বীপে বাঙ্কার নির্মাণ করছেন। তার সঙ্গে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্যাম অল্টম্যানেরও যোগ দেয়ার জোর গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রের আইডাহো অঙ্গরাজ্যের ধনকুবের ফ্র্যাঙ্ক ভ্যান্ডারস্লুটও দুই হাজার একর জমি কিনেছেন মার্ক জাকারবার্গের সাম্রাজ্যের পাশে। যার মূল্য ৫১ মিলিয়ন ডলার। এ ছাড়া বহু ধনী শ্রেণির মানুষ বিকল্প আবাসস্থল বাঙ্কার তৈরি করেছেন বা পরিকল্পনা করছেন। এ ক্ষেত্রে একটা বড় অংশের প্রথম পছন্দ নিউজিল্যান্ড।

এ তালিকায় আরোও রয়েছেন আমাজন বিলিওনিয়র জেফ বেজোস, তার বাগদত্তা লরেন সানচেজ, অবসরপ্রাপ্ত এনএফএল তারকা টম ব্র্যাডি, সাবেক প্রথম কন্যা ইভাঙ্কা ট্রাম্প এবং গায়ক জুলিও ইগলেসিয়াসও। .

গুঞ্জন রয়েছে টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্কের নামও। তার কার্যক্রম দেখে মনে হয় পৃথিবীতে বড় দুর্যোগ নেমে এলে তিনি হয়তো মঙ্গলগ্রহে আবাসস্থল গড়বেন।

সূত্র: ডেইলি মেইল, দ্য গার্ডিয়ান

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ