ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মিশরে প্রবাসীদের ঈদুল ফিতর উদযাপন 

প্রকাশনার সময়: ১০ এপ্রিল ২০২৪, ২১:৪৪

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর মুসলিম বিশ্বে আনন্দের বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর। মধ্যপ্রাচ্য ও আরব আফ্রিকার অন্যান্য দেশের মতো পিরামিড, নীলনদ আর সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর দেশ মিশরে আজ ১০ই মার্চ (বুধবার) উদযাপিত হয়েছে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

ফজরের নামাজ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারাদেশের বিভিন্ন মসজিদ থেকে আসতে থাকে 'আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ' ধ্বনি।

ভোরের আলো ফোটার আগেই দেখা যায় সব বয়সের নারী, পুরুষ ও শিশুরা হাতে জায়নামাজ নিয়ে ছুটে চলেছেন মসজিদ ও মাঠের দিকে। সূর্য ওঠার ঠিক ২০ মিনিটের মাথায় রাজধানী কায়রোসহ দেশের সকল মসজিদ ও খোলা ময়দানে একযোগে একই সময়ে অনুষ্ঠিত হয় ঈদের জামাত।

দেশটির রাজধানীর কায়রো এলাকায় অবস্থিত হযরত হোসাইন (রা.) হযরত অমর ইবনুল আস (রা.), ইমাম শাফী (রা.), আল-আজহার, সাঈদা জয়নব (রা.) সাইদা নাফিজা (রা.) মসজিদসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় মসজিদে দেশের দূরদূরান্ত থেকে এসে বাংলাদেশি প্রবাসীরাও মিশরীয় মুসল্লিদের সাথে যোগ দেন ঈদের জামাতে।‌

তাছাড়া মিশরের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশি প্রবাসীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় মসজিদ ও মাঠে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মিস সামিনা নাজ প্রবাসী বাংলাদেশি, তাদের পরিবারবর্গ ও মিশরীয় নাগরিকদের শুভেচ্ছা জানিয়ে এক বানীতে মুসলিম উম্মার শান্তি ও সম্প্রীতি কামনা করেন।

রাষ্ট্রদূত সকল ধর্মের সকলের প্রতি সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানিয়ে গাজার প্যালেস্টাইনি ভাই ও বোনদের জন্য বিশ্বের সকলের সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সমর্থন আশা করেন। যাতে করে তারা ঈদের সময়সহ সকল সময়ে নিজ বাসভূমে শান্তি ও সম্প্রীতিতে বাস করতে পারেন।

পিড়ামিডের দেশটিতে এবার ঈদে ৪ দিনের ছুটির সঙ্গে দুদিন‌ সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে ৬ দিনের ছুটি চলছে।‌

এবারও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অনেক বন্দিকে ক্ষমা করে দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি।

দেশটিতে ঈদুল ফিতরের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী খাবার হলো কুকিজ জাতীয় কা'হক নামক জনপ্রিয় একটি মিষ্টি। ভেতরে খেজুর, ওয়ালনাটসহ বিভিন্ন বাদাম ভরে মাখন, ময়দা ও চিনির সংমিশ্রণে তৈরি কা'হক ছাড়া মিশরীয়দের ঘরে ঈদ উদযাপন চিন্তাই করা যায় না।

মিশরে ঈদুল ফিতরের প্রধান খাবার ফাসিখ (লবণাক্ত শুটকি মাছ), বাছাল আখদার (পেঁয়াজ পাতা) ও এইস বেলাদি (দেশী রুটি) হলেও প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবার গুলো নিজ ঘরে পিঠা পায়েস আর মোরগ পোলাও দিয়েই ঈদ উদযাপন ও অতিথিদের আপ্যায়ন করেন।

নয়াশতাব্দী/একে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ