যুক্তরাষ্ট্রের নেবরাস্কার অধিবাসী ২৮ বছর বয়সী যুবক নিকোলাস মেটসন। ২০২১ সালে হলি ব্রামলির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক বছর আগে অভিযুক্ত হন তিনি।
সম্প্রতি আদালতে সেই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছেন লিংকন শহরের এই বাসিন্দা। তার বয়ানে উঠে এসেছে স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের লোমহর্ষক এক বর্ণনা।
লিংকন ক্রাউন কোর্টে দেওয়া ওই বয়ানে জানা যায়, গত বছরের মার্চে স্ত্রী হলি ব্রামলিকে ২০০ টুকরা করে হত্যা করেন মেটসন। এরপর টুকরোগুলো বস্তাবন্দি করে রান্নাঘরে রেখে গুগলে সার্চ করেন বেশ কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর। এর মধ্যে একটি প্রশ্ন ছিল- ‘আমার স্ত্রী মারা গেলে আমি কী সুবিধা পাব?’ আরেকটি প্রশ্ন ছিল- ‘মৃত্যুর পর কেউ কি ভূত হয়ে তাড়া করতে পারে?’
পরে ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো ফেলে দেওয়া হয় উইথাম নদীতে। আর এ কাজে অর্থের বিনিময়ে জোসুয়া হ্যানকক নামে নিজের এক বন্ধুকে কাজে লাগান মেটসন।
এর কয়েক দিন পরেই হলি ব্রামলির মরদেহের টুকরাগুলো পাওয়া যায় উইথাম নদীতে। এরপর মেটসন-ব্রামলি দম্পতির বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে পুলিশের সন্দেহ হয় বাড়ির অবস্থা দেখে। ফ্ল্যাটটিতে অ্যামোনিয়া এবং ব্লিচের তীব্র গন্ধ পেয়েছিলেন পুলিশ সদস্যরা। এ ছাড়া তারা বাথটাবে রক্তে ভেজা চাদর এবং মেঝেতে কালো দাগও খুঁজে পান। পরে মৃতের সঙ্গে মিলে যায় সেই রক্তের নমুনা।
নয়া শতাব্দী/এসএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ