আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করেছে তালেবান। গতকাল মঙ্গলবার ডেপুটি মন্ত্রীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবারো কোনো নারীকে মন্ত্রিসভায় যুক্ত করতে ব্যর্থ হলেও কট্টর ইসলামপন্থি এ গোষ্ঠীটি জানিয়েছে, আফগানিস্তানে শিগগিরই স্কুলে যেতে পারবে মেয়েরা।
বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, চলতি মাসের শুরুর দিকে প্রথম অন্তর্বর্তী সরকারের কিছু সদস্যের নাম জানায় তালেবান। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ করা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তালেবান মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ। এ সময় নতুন মন্ত্রিসভার বাকি পদগুলোর জানান তিনি। তবে এ সম্পর্কে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানা যায়নি।
গত সপ্তাহে স্কুল খোলার ঘোষণা দেয় তালেবান। এর আগে দেশটিতে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে তারা। এ সিদ্ধান্তের পক্ষে অবস্থান নিয়ে এ সময়ই মুখপাত্র মুজাহিদ মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার বিষয়ে বলেন, এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত। তারা কখন স্কুলে যেতে পারবে তা শিগগির ঘোষণা করা হবে।
মুজাহিদ বলেন, নতুন মন্ত্রিসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদেরও যুক্ত করা হয়েছে। তিনি জানান, হাজারা জনগোষ্ঠীর সদস্যও মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। ভবিষ্যতে হয়তো নারীরাও যুক্ত হবেন। তবে তার এ মন্তব্যেও মধ্য দিয়ে পুরো মন্ত্রিসভায় কোনো নারী স্থান না পাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
এ সময় তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মুজাহিদ বলেন, ‘জাতিসংঘ এবং অন্য দেশগুলোর দায়িত্ব আমাদের সরকারকে স্বীকৃতি দেয়ার।’ ইউরোপীয়ান, এশিয়ান এবং ইসলামিক দেশগুলোর উচিত আমাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা। তালেবান নিজেদের গঠিত সরকারকে এখনও অন্তর্র্বতী সরকার বলছে। তবে দেশটিতে আদৌ কোনো নির্বাচন হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় সতর্ক করে বলে আসছে, তালেবানকে পর্যালোচনা করা হবে তাদের কাজ দিয়েছে। আর তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বীকৃতির বিষয়টি নির্ভর করবে দেশটির নারী ও সংখ্যালঘুদের সঙ্গে তাদের আচরণের ওপর। তালেবানের পুরনো শাসনামলে (১৯৯০ এর দশকে) নারী ও মেয়ে শিশুদের স্কুল, কলেজ এবং কাজে যোগ দেয়া নিষিদ্ধ করা হয়।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ