ঢাকা, শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬

হাইকোর্টের রায়ে উত্তর প্রদেশে বন্ধ হচ্ছে মাদরাসা

প্রকাশনার সময়: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৪ | আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৯

জাতীয় নির্বাচনের আগেই ভারতের সবচেয়ে জনবহুল রাজ্য উত্তর প্রদেশে ২০০৪ সালে প্রণীত মাদরাসা শিক্ষার আইনকে অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছেন এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এর মধ্য দিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকারে মুসলিমবিরোধী যে ভাবমূর্তি ছিল, তা আরও উজ্জ্বল হলো বলে মনে করা হচ্ছে। খবর রয়টার্সের

শুক্রবার (২২ মার্চ) এলাহাবাদ হাইকোর্টে বিচারপতি বিবেক চৌধুরী এবং বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রায় দেন।

বিজেপির আমলে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের বিরুদ্ধে নেওয়া নানা বিতর্কিত সিদ্ধান্তের মধ্যে আরও একটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলো। আর জাতীয় নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপের কারণে মোদি মুসলিম ভোট হারাতে পারেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ইসলামভিত্তিক স্কুল কার্যক্রম হচ্ছে মাদরাসা। যেখানে মূলত ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়, পাশাপাশি জাতীয় কারিকুলামে থাকা পাঠ্যবইও পড়ানো হয়। শুক্রবারের রায়ে বলা হয়, এই আইন ভারতের সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থি। রায়ে মাদরাসায় লেখাপড়া করা শিক্ষার্থীদের প্রচলিত স্কুলগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের জন্য পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

শুক্রবারের রায়ে বিচারপতি সুভাষ বিদ্যার্থী ও বিবেক চৌধুরী বলেন, রাজ্য সরকার এটাও নিশ্চিত করবে যে রাজ্যের ছয় থেকে ১৪ বছর বয়সী কোনো শিশু যেন যথাযথভাবে স্বীকৃত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ থেকে বাদ না পড়ে। অংশুমান সিং রাঠোর নামে এক আইনজীবীর আবেদনের ভিত্তিতে এলাহাবাদ হাইকোর্ট মাদরাসা নিষিদ্ধের এ রায় দেন। অংশুমান সিং কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত কিনা বা তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে বা তাদের মতাদর্শে উৎসাহিত হয়ে হাইকোর্টে এই আবেদন করেছেন কিনা, জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।

এলাহাবাদ হাইকোর্টের এই রায় ২৭ লাখ শিক্ষার্থী এবং ২৫ হাজার মাদরাসার প্রায় এক লাখ শিক্ষকের জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মন্তব্য করেন রাজ্যের মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের প্রধান ইফতিখার আহমেদ জাভেদ। ভারতে মোট জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশ মুসলমান।

উত্তর প্রদেশের ক্ষমতায় থাকা বিজেপির মুখপাত্র রাকেশ ত্রিপাঠী বলেছেন, রাজ্য সরকার মাদরাসা শিক্ষার বিরুদ্ধে নয়। বরং তারা মুসলমান শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে উদ্বিগ্ন।

নয়া শতাব্দী/এসএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ