বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা তিনটি দেশের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। তালিকায় পাশাপাশি অবস্থানে রয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বায়ুদূষণের ওপর ওয়ার্ল্ড এয়ার কোয়ালিটি রিপোর্ট-২০২৩ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আইকিউএয়ার। খবর রয়টার্সের।
আইকিউএয়ার প্রকাশিত তথ্যে দেখা গেছে, এই তিন দেশের বাতাসে যে পরিমাণ দূষিত কণা রয়েছে তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানদণ্ডের চেয়ে প্রায় ১৫ গুণ বেশি। বিশ্বের ১৩৪টি দেশ ও অঞ্চলের ৩০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষণ স্টেশনের সংগ্রহ করা তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে সংস্থাটি।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ তিন দেশের মধ্যে পাকিস্তান দ্বিতীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। আফ্রিকার দেশ চাদ আর ইরানকে হারিয়ে যথাক্রমে প্রথম ও তৃতীয় অবস্থানে চলে এসেছে বাংলাদেশ ও ভারত।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাতাসে ভেসে বেড়ানো ক্ষুদ্র কণা যা ফুসফুসের ক্ষতি করে সেই পিএম২.৫ এর গড় ঘনত্ব হিসেবে ১৩৪টি দেশের মধ্যে ২০২৩ সালে শীর্ষে ছিল বাংলাদেশ। সেখানে প্রতি ঘনমিটারে ৭৯ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রামে পৌঁছেছিল, আর পাকিস্তানে ছিল ৭৩ দশমিক ৭ মাইক্রোগ্রামে। এছাড়া পিএম২.৫ ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৫৪.৪ মাইক্রোগ্রাম নিয়ে তৃতীয় সবচেয়ে খারাপ বায়ুর গুণমান ছিল ভারতের। যদিও এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সুপারিশকৃত মান ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি নয়।
আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি চেস্টার শ্রোয়েডার বলেছেন, বায়ুদূষণের অন্যান্য কারণ হলো-দেশগুলোর কৃষি ব্যবস্থা, শিল্পায়ন ও জনসংখ্যার ঘনত্ব।
২০২২ সালে বিশ্বে বায়ুদূষণের দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল শেষ থেকে পঞ্চম আর ভারতের অবস্থান ছিল অষ্টম। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ ফিরোজ খান বলেছেন, বাংলাদেশে অকালমৃত্যুর ২০ শতাংশই হয় বায়ুদূষণজনিত রোগের কারণে। বায়ুদূষণ সংক্রান্ত রোগের চিকিৎসায়ে দেশের জিডিপির অন্তত ৪ থেকে ৫ শতাংশ ব্যয় হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ভারতের বায়ুদূষণও গত বছরের তুলনায় বেড়েছে যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ডের চেয়ে ১১ গুণ বেশি। রাজধানী দিল্লি সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে দূষণের হার ৯২.৭ মাইক্রোগ্রাম।
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ