বিয়ের অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করতে গিয়ে হোটেলে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক তরুণী। ৩ জুলাই রাতে ঘটনাটি ঘটে ভারতের বিহারের পটনায়।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় রোববার ওই তরুণীর এক বান্ধবী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করে এ ঘটনার সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, বিহারের মুজফ্রপুরে বাসিন্দা হর্ষ রঞ্জন এবং তার বন্ধু বিক্রান্ত কেজরীবাল মিলে একটি হোটেলে তাকে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত হর্ষ ওই বিয়ের ইভেন্ট আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, দেড় বছর ধরে আমাকে টার্গেট করছিল হর্ষ। ঘটনার রাতে কাজের টাকা দেয়ার নাম করে আমার কক্ষে আসে হর্ষ এবং বিক্রান্ত। এরপর রাত ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত আমাকে ধর্ষণ করে। সে সময় ওই হোটেলে তিনটি বিয়ের পার্টি চলছিল। ফলে চিৎকার-চেঁচামেচি করেও লাভ হয়নি। ধর্ষণের পর বাথরুমে নিয়ে আমার গায়ে পানি ঢেলে দেয়া হয়। প্রমাণ নষ্ট করার জন্যই তারা আমার গায়ে পানি ঢেলে দেয়।
ঘটনার পরদিন ৪ জুলাই যাদবপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই তরুণী। সে অভিযোগের ভিত্তিতে চিত্তরঞ্জন মেডিকেল কলেজে তার শারীরিক পরীক্ষাও করানো হয়। ১৫ জুলাই এ মামলাটি পটনার গাঁধী ময়দান থানায় পাঠানো হয়। ২৯ জুলাই পটনার একটি আদালতে গোপন জবানবন্দিও দিয়েছেন ওই তরুণী। তবে অভিযুক্তদের এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ