সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছে থেকে ১৭ নাবিকসহ একটি বাণিজ্যিক জাহাজ উদ্ধার করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী। জাহাজে ৩৫ জন জলদস্যু ছিল তারা সবাই আত্মসমর্পণ করেছে। খবর আল জাজিরা। উদ্ধার হওয়া জাহাজটি মাল্টার পতাকাবাহী। নাম এমভি রুয়েন। এটি একটি বাল্ক ক্যারিয়ার, যেটি গত ডিসেম্বরে ছিনতাই হয়।
ভারতীয় নৌবাহিনীর একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশেষ কমান্ডোসহ ভারতীয় নৌবাহিনী সোমালি জলদস্যুদের হাইজ্যাক করা একটি পণ্যবাহী জাহাজ জব্দ করেছে এবং ১৭ জন ক্রু সদস্যকে উদ্ধার করেছে। অভিযানে ভারতীয় নৌবাহিনীর বিশেষ কমান্ডোরাও অংশ নেন বলেও জানান তিনি।
শনিবার (১৬ মার্চ) এক এক্স বার্তায় ভারতীয় নৌবাহিনী ভারতীয় উপকূল থেকে জাহাজটি উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এমভি রুয়েন থেকেই জলদস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয়। ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, গত শুক্রবার জাহাজটিকে আটক করা হয়। এক বিবৃতিতে নৌবাহিনী জানায়, জাহাজ উদ্ধারের সময় সেটিতে থাকা জলদস্যুদের আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। জাহাজ ও এতে থাকা যেসব বেসামরিক নাগরিককে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে আটকে রাখা হয়েছিল, তাদেরকেও ছেড়ে দিতে বলা হয়। একপর্যায়ে জাহাজটিতে থাকা ৩৫ জলদস্যুর সবাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। জাহাজটিতে কোনো ধরনের অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ বা মাদক রয়েছে কিনা তা তল্লাশি করে দেখা হয়েছে।
ভারতীয় নৌবাহিনী এই অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা এবং নাবিকদের নিরাপত্তার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
গত মঙ্গলবার (১২ মার্চ) ২৩ নাবিকসহ ভারতীয় মহাসাগর থেকে বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে নিজেদের দখলে নেয় সোমালিয়ার জলদস্যুরা। ভারতীয় ও ইউরোপিয়ান নৌবাহিনীর তৎপরতায় স্থির হতে পারছে না এমভি আব্দুল্লাহ ছিনতাইকারী জলদস্যুরা।
নিজেদের এলাকায় অবস্থান করলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় বারবার স্থান পরিবর্তন করছে তারা। সাবেক মেরিনাররা বলছেন, পুরোপুরি স্বস্তি না ফেরা পর্যন্ত মুক্তিপণের জন্য যোগাযোগ করবে না দস্যুরা। ভারত মহাসাগরে ছিনতাইয়ের পর এমভি আব্দুল্লাহকে নিয়ে শুক্রবার (১৫ মার্চ) পর্যন্ত দুই বার স্থান পরিবর্তন করেছে জলদস্যুরা। সর্বশেষ সেটি রাখা হয়েছে সোমালিয় উপকূলে তীর থেকে ৫ নটিক্যাল মাইল দূরে।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ