ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোজায় আল-আকসা’র পরিস্থিতি কেমন হতে পারে?

প্রকাশনার সময়: ১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৩ | আপডেট: ১০ মার্চ ২০২৪, ১৬:৩২

আর একদিন পরই মুসলিমদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে। আর সেই সাথে জেরুজালেমে বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ প্রতিবছর রমজানে জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদে নামাজ আদায় করতে যান হাজারো মুসল্লি। এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতিরও কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই এই পবিত্র রমজান মাসেই জেরুজালেমে ব্যাপক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রোববার (১০ মার্চ) দি গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই রমজান জুড়ে জেরুজালেমে একটি ঝড়ো বিপর্যয় ঘটতে চলেছে। এ সময় ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা একটি উত্তেজনাপূর্ণ সহিংসতার মধ্যে কাটাবে। আর এ বিপর্যয়ের জন্য তারা নিজেদের প্রস্তুত করছে।

রমজানের শুরুতে এই শত্রুতা বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে কায়রোতে যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গের ওই আলোচনাটি কোনো অগ্রগতি ছাড়াই শেষ হয়ে যায়।

শুক্রবার (৮ মার্চ) এক ভিডিও বার্তায় হামাসের সামরিক শাখার মুখপাত্র আবু ওবেদা রমজানকে ‘বিজয়ের মাস’ বা ‘জিহাদের মাস’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাস এমন একটি সংগঠন, এটি বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের সম্মান রক্ষা করছে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের জনগণকে জেরুজালেমের দিকে অগ্রসর হতে ও মসজিদে প্রার্থনা করার আহ্বান জানাচ্ছি। আল-আকসা মসজিদ আমাদেরই।

এদিকে গত সপ্তাহে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাষ্য ছিল, রমজান মাস শুরুর আগে জিম্মিদের মুক্তি দিতে হবে। হামাস এই সময়সীমার মধ্যে সব জিম্মিদের মুক্তি না দিলে গাজার দক্ষিণে অবস্থিত সীমান্তবর্তী শহর রাফাহর বিরুদ্ধে সর্বাত্মক হামলা চালাবে ইসরায়েল।

এর আগে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রমজানে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেছেন,

হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তির ব্যাপারটি কঠিন হয়ে পড়ছে। এই রোজায় জেরুজালেমে সহিংসতা হবে, তা নিয়ে তিনি নিশ্চিত।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু যেভাবে গাজায় যুদ্ধ পরিচালনা করছেন, তা তার দেশকে সহায়তা করার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্যও করেন জো বাইডেন। জো বাইডেন সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় চলমান যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করা ঠিক হবে না। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জোর দেন, তিনি কখনো যুক্তরাষ্ট্রের এই মিত্রদেশকে ছেড়ে যাবে না।

উল্লেখ্য, মুসলিমদের তৃতীয় বৃহত্তম পবিত্র স্থান জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদ। এখানে প্রতি বছর অন্তত ১৪ লাখ মুসল্লি আসে নামাজ আদায় করতে। মসজিদটি পরিচালনা করে জর্ডান। তবে এর নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। বলা হচ্ছে, এবার রমজানে আল-আকসা মসজিদে মাত্র ১০ থেকে ১৫ হাজার মুসল্লিকে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেওয়া হবে।

এদিকে ইহুদিদেরও পবিত্র স্থান এই জেরুজালেম। এখানেই তাদের টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত প্রথম ও দ্বিতীয় মন্দির অবস্থিত। উভয় পক্ষই স্থানটিকে নিজেদের দাবি করে আসছে দীর্ঘদিন ধরেই। ফলে প্রতিবছরই বিশেষ করে রমজান মাসে মসজিদটি ঘিরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। তাই এ বছর রমজানে ব্যাপক উদ্বেগে রয়েছে জেরুজালেম।

নয়াশতাব্দী/ডিএ

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ