আর্জেন্টাইন ফুটবলের জীবন্ত কিংবদন্তি লিওনেল মেসি। বিশ্বব্যাপী এই তারকা ফুটবলারের কৃতিত্বে মুগ্ধ বিশ্বের ফুটবলপ্রেমিরা। শুধু তাই নয়, জাতি-ধর্ম ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশা নির্বিশেষে সকলের কাছেই যেন সমধিক জনপ্রিয় লিওনেল মেসি। হোক স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা কিংবা অস্ত্রধারী ডাকাত, তারাও যেন মেসিকে ভালোবাসেন হৃদয়ভরে। আর এই মেসির নাম বলেই অস্ত্রের মুখ থেকে রক্ষা পেয়েছেন এক আর্জেন্টাইন বৃদ্ধা।
শুক্রবার (৮ মার্চ) হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে এ খবর উঠে আসে। ৯০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধার নাম এস্তার কুনিও।
গত বছরের ৭ অক্টোবরে ইসরায়েলে ঘটেছিল ঘটনাটি, যখন ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বন্দ্ব তুঙ্গে উঠতে থাকে। এ সময় ইসরায়েলে অনুপ্রবেশকারী স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের মুখে পড়ে এস্তারের পরিবার। পরে অস্ত্রধারী এক হামাস সদস্য বৃদ্ধা এস্তারের সঙ্গে কথা বলে তার পরিচয় জানার চেষ্টা করেন।
এ সময় ওই বৃদ্ধা ওই হামাস সদস্যের সামনে আকুতি মিনতি করেন। সেখানে নিজের আর্জেন্টাইন পরিচয় বোঝাতে মেসির নাম উচ্চারণ করেন এস্তার, তাতেই বেঁচে যান তিনি। শুধু তা-ই নয়, মেসির দেশের মানুষ পরিচয় দেওয়ায় পর ওই হামাস সদস্য সেলফিও তুলেছেন এস্তারের সঙ্গে।
সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফুয়েন্তে লাতিনোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এস্তার কুনিও বলেছেন, ‘ওই অস্ত্রধারীকে বলেছিলাম, আমি আর্জেন্টাইন ও স্প্যানিশে কথা বলতে পারি। তাদের আরবী ভাষা আমি বুঝতে পারিনি, এবং আমি হিব্রুতে একেবারেই কাঁচা। নিজেকে আর্জেন্টাইন ও স্প্যানিশভাষী হিসেবে পরিচয় দিলাম, তখন সে জিজ্ঞেস করল, আর্জেন্টিনা কী।’
এস্তার বলেন, ‘তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কি ফুটবল খেলা দেখো? সে বলল, সে ফুটবল পছন্দ করে। এরপর আমি তাকে বললাম, আমি মেসির দেশের মানুষ। তখন সে অবাক হয়ে যায় এবং আমাকে বলে, সে মেসিকে ভালোবাসে। এরপর সে তার হাত আমার কাঁধে রাখে, আমাকে তার বন্দুক দেয়। এরপর শান্তির সাইন (ভি) দেখিয়ে আমার সঙ্গে ছবি তোলে।’
তবে মেসির নাম বলে এস্তার রক্ষা পেলেও তার নাতি-নাতনিদের অপহরণ করে গাজায় নিয়ে যায় অপহরণকারীরা। তাদের ফিরে পেতে মেসির হস্তক্ষেপ আশা করছেন এস্তার।
এস্তার বলেন, ‘যদি মেসি জানেন যে, আমি তার নাম বলে রক্ষা পেয়েছি, তাহলে আমি গাজায় আটকে থাকা আমার নাতি-নাতনিদের রক্ষার জন্য তার হস্তক্ষেপ কামনা করবো। আমার নাতিরা আমার কাছে সোনার মতো মূল্যবান।’
নয়াশতাব্দী/ডিএ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ