করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্কের মধ্যেই অজানা জ্বরে ১২ জনের মৃত্যুতে স্তব্ধ উত্তর প্রদেশের গ্রামে। সেই সাথে অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী আরও অর্ধশতাধিক। তাই তো দলে দলে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন কানপুর নগর জেলার কুরসৌলি গ্রামের বাসিন্দারা।
দেশটির সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস রোববার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে শুধু পুরুষরা থেকে গেছেন। নারী ও শিশুদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য এলাকায়। বেশিরভাগ বাড়ির ঘরই তালাবন্দি। গ্রামজুড়ে যেন ছড়িয়ে রয়েছে কোনো অলক্ষুণে ছায়া!
কানপুর শহরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন অনিল কুমার। তিনি জানান, তার স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছেন, কেবল নিজে থেকে গেছেন বাড়ির মহিষগুলো দেখাশোনার জন্য। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তি বলেন, গবাদিপশু আর খামার না থাকলে পুরো গ্রামই খালি হয়ে যেতো। এমন একটি বাড়িও নেই যেখানে জ্বর পৌঁছায়নি। অনেকে আত্মীয়ের বাড়ি চলে গেছেন। কেউ কেউ আশপাশের এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়েছেন।
গত ২০ আগস্ট রহস্যময় জ্বরে মারা যায় তান্নু প্রজাপতি নামে ১৪ বছরের এক কিশোরী। সেই থেকে শুরু। এরপর একে একে প্রাণ গেছে আরও ১১ জনের, যাদের মধ্যে নয়জনই মেয়ে অথবা নারী।
কানপুর নগর জেলার অতিরিক্ত চিফ মেডিকেল অফিসার (সিএমও) ডা. সুবোধ প্রকাশ স্বীকার করেছেন, তারা এখনো এসব মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পারেননি। তিনি বলেন, মৃতদের বেশিরভাগেরই ডেঙ্গু অথবা ম্যালেরিয়া পরীক্ষা হয়নি। যারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল, সবাই সুস্থ হয়ে গেছেন। পরীক্ষায় এখনো একজনও ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায়নি।
মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে জানিয়ে এ কর্মকর্তা বলেন, আশপাশের গ্রামগুলোতে এমন সমস্যা নেই।
নয়া শতাব্দী/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ