২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর শেহবাজ শরিফ দেশটির ২৪তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
রোববার (২ মার্চ) ফল ঘোষণার পর সংসদের প্রধান বিরোধী দল সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের (এসআইসি) সঙ্গে শেহবাজের দলের হট্টগোল বাঁধে। এর মধ্যেই বিজয়ী ভাষণ দেন নতুন প্রধানমন্ত্রী।
জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাষণে শেহবাজ শরিফ বলেন, সামনের কাজ কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। সকল সমর্থক ও জোটকে ধন্যবাদ জানাই। এই পদে মনোনীত করার জন্য পিএমএল-এন সুপ্রিমো নওয়াজ শরিফকেও ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বিরাজমান সংকট থেকে দেশকে বের করে আনার জন্য তার সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে শেহবাজ বলেন, দেশের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ও চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে সর্বস্তরের মানুষকে এক হতে হবে। উন্নয়ন, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে টাকা আসবে কোথা থেকে? সশস্ত্র বাহিনীর সরকারি কর্মচারীদের বেতন কোথা থেকে দেয়া হবে? এই সবই বছরের পর বছর ধরে ঋণের মাধ্যমে বহন করা হচ্ছে। এটি আজ দেশের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পাকিস্তানের স্পিকার আয়াজ সাদিক ঘোষণার সময় বলেন, মিয়া মুহাম্মদ শেহবাজ শরিফ ২০১ ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ওমর আইয়ুব পেয়েছেন ৯২ ভোট। এরপর স্পিকার শেহবাজকে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসার ও ভাষণ দেয়ার আমন্ত্রণ জানান।
ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এসআইসি আইন প্রণেতারা হট্টগোল শুরু করে এবং শেহবাজের বক্তৃতা ব্যাহত করার জন্য স্লোগান দেয়।
এই নির্বাচনে যে শাহবাজ বিজয়ী হবেন তা অনেকটাই প্রত্যাশিত ছিল। কারণ তিনি পিএমএল-এন ছাড়াও আরও সাতটি দলের সমর্থন পেয়েছিলেন। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর পেছনে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট-পাকিস্তান (এমকিউএম-পি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-কায়েদ (পিএমএল-কিউ), বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি), পাকিস্তান মুসলিম লীগ-জিয়া (পিএমএল-জেড), ইস্তেহকাম-ই-পাকিস্তান পার্টি (আইপিপি) ও ন্যাশনাল পার্টির (এনপি) মতো দলের সমর্থন রয়েছে।
নয়াশতাব্দী/একে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ