মাত্র আড়াই মাস আগেই নতুন সংসার পাতেন দু’জনে। পরিবারে নব দম্পতিকে নিয়ে বইছিল খুশির হাওয়া। আচমকাই সেই পরিবারে নেমে এলো শোকের ছায়া!
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যুর পরের দিনই বহুতল ভবন থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করলেন স্ত্রী। এমন ঘটনায় ভারতের গাজিয়াবাদে নেমেছে শোকের ছায়া।
দেশটির সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সোমবার স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লির চিড়িয়াখানায় ঘুরতে যাবেন বলে ঠিক করেছিলেন অভিষেক অহলুওয়ালিয়া (২৫)। সেই মতো সকাল সকাল স্ত্রী অঞ্জলিকে নিয়ে ঘুরতে যান ওই যুবক। চিড়িয়াখানায় ঘুরতে ঘুরতেই আচমকা বুকে ব্যথা অনুভব করেন অভিষেক। স্বামীর এমন অবস্থা দেখে ঘাবড়ে যান অঞ্জলি। ফোন করেন অভিষেকের বন্ধুদের।
তার পরই অভিষেককে নিয়ে প্রথমে গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতালে যান অঞ্জলি। প্রাথমিক পরীক্ষা করার পরই তাকে ‘রেফার’ করা হয় সফদরজং হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় অভিষেকের।
তবে স্বামীর অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী অঞ্জলি। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে অভিষেকের দেহ এসে পৌঁছায় গাজিয়াবাদে তাদের আবাসনে। অভিষেকের দেহের সামনে বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন অঞ্জলি। এরপর...!
পরিবারের কথায়, হঠাৎই অঞ্জলি আবাসনের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তারপর সোজা সাত তলায় উঠে যান। সেখান থেকেই নিচে ঝাঁপ দেন তিনি। তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় অঞ্জলির।
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নব দম্পতির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমছে দুই পরিবারে।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিয়ে হয় অভিষেক ও অঞ্জলির। গাজিয়াবাদের আবাসনে থাকতেন তারা। ছুটিতে প্রায়ই এদিক-সেদিক ঘুরতে যেতেন নব দম্পতি। হাসিখুশি দু’জনের জীবন যে এভাবেই শেষ হয়ে যাবে, তা মেনে নিতে পারছেন না কেউই।
ববিতা নামে অভিষেকের এক আত্মীয় বলেন, ‘‘অভিষেকের দেহ বাড়িতে আনার পরেই তার পাশে বসে কাঁদছিল অঞ্জলি। তার পর হঠাৎ আবাসনের ভেতরে ঢুকে উপরে নিজের ফ্ল্যাটে চলে যায় সে। আমি বুঝতে পেরেছিলাম কিছু একটা করতে চাইছে। আমিও ওর সঙ্গে সঙ্গে যাই। কিন্তু শেষরক্ষা করতে পারিনি। আটকানোর আগেই বারান্দা থেকে লাফ দেয় অঞ্জলি।’’
সূত্র-আনন্দবাজার।
নয়া শতাব্দী/এনএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ