১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর ভারতীয় বাহিনীর হামলায় ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্র উপকূলের কাছে পাকিস্তানের পিএনএস গাজী নামের সাবমেরিনটি ডুবে যায়। যা দীর্ঘ ৫৩ বছর পর খুঁজে পাওয়া গেছে। খবর আরটির।
ভারতের গভীর সমুদ্রে নিজজ্জিত জাহাজ উদ্ধারকারী যান (ডিএসআরএভ) সাবমেরিনটি সমুদ্রের ২ কিলোমিটার গভীরে খুঁজে পেয়েছে।
১৯৭১ সালের কথা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সাবমেরিন পিএনএস গাজি বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে দেয় ভারত। ভারতীয় নৌসেনার দক্ষতায় বঙ্গোপসাগরের বুকেই খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে সমাধিস্থ হয়েছিল পাকিস্তানের ওই সাবমেরিন। এবার ৫৩ বছর পর, সেই পাকিস্তানি সাবমেরিনকেই আবার খুঁজে বের করল ভারতীয় নৌসেনারা।
ভারতীয় নৌসেনার ডিপ সাবমার্জেন্স রেসকিউ ভেইকল সম্প্রতি সন্ধান পেয়েছে বহু বছর আগে ধ্বংস হয়ে যাওয়া পাকিস্তানি সেই ডুবোজাহাজের। কোথায় পাওয়া গেল সেই ভেঙে চুরে তলিয়ে যাওয়া পাকিস্তানি সাবমেরিন?
বাংলার উপকূল থেকে খুব বেশি দূরে নয়। পিএনএস গাজির ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ভাইজাগের কাছেই। ভাইজাগের সমুদ্র উপকূল থেকে মাত্র দুই থেকে আড়াই কিলোমিটারের মধ্যেই পাওয়া গিয়েছে পিএনএস গাজি। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০ মিটার গভীরে।
উল্লেখ্য, একাত্তরের যুদ্ধের সময় এই পাকিস্তানি সাবমেরিনের পতন যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল অনেকটা। পাকিস্তানি নৌসেনার ৯৩ জনকে নিয়ে বঙ্গোপসাগরের বুকে সলিল সমাধি হয়েছিল পিএনএস গাজির। যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হয়ে উঠেছিল এবং যা পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনে অনুঘটকের মতো কাজ করছিল।
ভারতের পূর্ব উপকূলে আইএনএস বিক্রান্তকে ধ্বংস করতে ইসলামাবাদ এই পাকিস্তানি সাবমেরিন পাঠিয়েছিল। করাচি থেকে রওনা দিয়ে ৪ হাজার ৮০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এসেছিল পাকিস্তানি নৌসেনার পিএনএস গাজি।
কিন্তু যে উদ্দেশ্যে পাকিস্তান এই ডুবোজাহাজ পাঠিয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। তার আগেই ভারতীয় সাবমেরিন আইএনএস রাজপুতের কাছে ধরা পড়ে যায় পাকিস্তানের এই ডুবোজাহাজ।
পাকিস্তানের এ সাবমেরিনকে ডুবিয়ে দেওয়ায় ভারত তাদের রণতরীর ক্রুদের পুরস্কৃত করে। অন্যদিকে পাকিস্তানের দাবি এটি দুর্ঘটনাবশত বিস্ফোরণের কারণে ডুবে যায়।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ