ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার পুরোদস্তুর সামরিক আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে দু’বছরে ৩১ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে। এটি কিয়েভের সামরিক ক্ষয়ক্ষতির ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর দুই বছর পূর্তির একদিন পর রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) যুদ্ধে সৈন্য হারানোর এই হিসাব দিলেন জেলেনস্কি। খবর সিএনএন
গত এক বছরের বেশি সময় পর যুদ্ধে প্রাণহানি ও সামরিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে এ হিসাব দেয়া হলো। জেলেনস্কি জানান, যুদ্ধে কত সেনা আহত হয়েছেন, সে হিসাব দিতে পারছেন না। এর কারণ হিসেবে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, এই সংখ্যাটা প্রকাশ করা হলে রাশিয়ার জন্য সামরিক কৌশল গ্রহণে সাহায্য করা হবে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, ‘এই যুদ্ধে ইউক্রেনের ৩১ হাজার সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। সংখ্যাটা ৩ লাখ বা দেড় লাখ নয়। (রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন) এ নিয়ে মিথ্যাচার করছেন। যা হোক, আমাদের জন্য একটা অনেক বড় এক ক্ষতি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালের শেষ দিকে যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির হিসাব দিয়েছিল ইউক্রেন। সেই সময় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক জানিয়েছিলেন, একই বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর ১৩ হাজার ইউক্রেনীয় সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সামরিক ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে রাশিয়া কোনো হিসাব দেয়নি। তারা বিষয়টিকে গোপন বলে মনে করে।
নয়া শতাব্দী/আরজে
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ