ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রোহিঙ্গাদের সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে জান্তা সরকার

প্রকাশনার সময়: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৮:২২ | আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯:১৫

রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জোর করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে চাপ দিচ্ছে জান্তা সরকার। অনেক গ্রাম এবং ক্যাম্প থেকে সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য রোহিঙ্গা পুরুষদের ধরে নিয়ে গেছে জান্তা বাহিনী। এ ঘটনায় মানবাধিকারকর্মী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির কাছে হারানো শহরগুলো পুনরায় নিজেদের দখলে নিতে দুই সপ্তাহের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দিয়ে রোহিঙ্গা পুরুষদের যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠানো হচ্ছে। জান্তা বাহিনীতে যোগদানের জন্য বিভিন্ন ক্যাম্প এবং গ্রাম থেকে ৪০০ রোহিঙ্গাকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমার সরকার।

রাখাইনের অধিকারকর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারাদের বরাত দিয়ে থাইল্যান্ড থেকে পরিচালিত দেশটির ইংরেজি সংবাদমাধ্যম ইরাবতি বলছে, জান্তা বাহিনী জানিয়েছে, যেসব রোহিঙ্গা পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগ দেবেন তাদের এক বস্তা চাল, নাগরিকত্বের একটি পরিচয়পত্র এবং মাসিক ১ লাখ ১৫ হাজার কিয়াট বেতন দেয়া হবে।

ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান বলেছেন, প্রশিক্ষণের সময় মাত্র দুই সপ্তাহ। যাদের দুই সপ্তাহের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে তাদের জান্তা বাহিনী শুধুমাত্র মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সব নারী-পুরুষের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে। এরপরই রোহিঙ্গা পুরুষদের সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করার কার্যক্রম শুরু করে জান্তা।

সংবাদমাধ্যম ইরাবতি জানিয়েছে, জান্তা বাহিনী ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী সকলের তালিকা তৈরির জন্য বুচিডং, মংডু এবং সিত্তের গ্রাম প্রশাসক ও নেতাদের চাপ দিয়েছে।

এরমধ্যে ছোট গ্রাম থেকে অন্তত ৫০ জন, বড় গ্রাম ও প্রতিটি শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অন্তত ১০০ জনের তালিকা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এর আগে বুচিডং থেকে গত ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি শতাধিক মুসলিম রোহিঙ্গা পুরুষকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণের জন্য পাঠিয়ে দেয়া হয়।

ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা নে সান আরও বলেছেন, আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি বুধবার পর্যন্ত সিত্তের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ৩০০ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং তারা এখন প্রশিক্ষণ নিচ্ছে।

যদিও মিয়ানমারের আইন অনুযায়ী দেশটির নাগরিকরা শুধু সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারবে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি না দিলেও এখন তাদের সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হচ্ছে।

নয়া শতাব্দী/আরজে

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ